খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলি, সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির তল্লাশি

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:৩৯ অপরাহ্ন, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:৩৯ অপরাহ্ন, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠন শ্রমিক শক্তির বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক মোতালেব শিকদারকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোতালেব শিকদারকে দ্রুত উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়; তবে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলায় ৯ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা

এ ঘটনার পরপরই সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর ও আশপাশের সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের চলাচল সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি কৃষিকাজের উদ্দেশ্যেও কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অতিরিক্ত চেকপোস্ট স্থাপন ও নিয়মিত টহল জোরদার করেছে। সীমান্তের প্রতিটি প্রবেশপথে যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে। বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের এক কর্মকর্তা জানান, ঘটনাটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।

আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সরকারি হাসপাতাল কার্যত অচল চিকিৎসক সংকটে

এদিকে হামলাকারীরা যেন সীমান্ত অথবা নগরী হয়ে পালিয়ে যেতে না পারে, সে লক্ষ্যে সাতক্ষীরা সীমান্তে আরও কঠোর নজরদারি জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন সাতক্ষীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরাফাত হুসাইন।

নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে—বিশেষ করে ঘাট ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ ব্যবহার করে—যেন কোনোভাবেই হামলাকারীরা পালিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য দ্রুত সীমান্ত সিল করে কঠোর চেকপোস্ট ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। পাশাপাশি খুলনায় এনসিপি নেতার ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় জড়িত আসামিরা যেন কোনোভাবেই সীমান্ত কিংবা শহর থেকে পালাতে না পারে, সে দাবিও জানান তিনি।