মেজর সিনহা হত্যা: ওসি প্রদীপ ও এসআই লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহালের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
বহুল আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস এবং বরখাস্তকৃত সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে সাক্ষর শেষে তা সংশ্লিষ্ট সেকশনে পাঠান।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যা: ধর্ষণ ও প্ররোচনার অভিযোগে দুই শিক্ষক গ্রেপ্তার
রায়ের বিধান অনুযায়ী এখন আসামিদের ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। একই সঙ্গে মামলার আরও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ২ জুন ডেথ রেফারেন্স ও দণ্ডিতদের আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট এ রায় ঘোষণা করে। একই সঙ্গে ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ বহাল রাখা হয়।
আরও পড়ুন: পিকনিকের কথা বলে গণধর্ষণ, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল মেজর (অব.) সিনহাকে হত্যার দায়ে প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা।
পরবর্তীতে ৫ আগস্ট নিহতের বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে মামলা করেন।
র্যাব তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেয়, যেখানে ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ট্রায়াল কোর্টের মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিশ্চিতে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। একইসঙ্গে কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা আপিল করেন।
রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ হওয়ায় এখন মামলার পরবর্তী ধাপ হিসেবে দণ্ডিতদের আপিল প্রক্রিয়া শুরু হবে।





