পোশাক খাত: ইউরোপে সর্বোচ্চ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের

Shakil
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৩:০৭ অপরাহ্ন, ২২ ডিসেম্বর ২০২২ | আপডেট: ৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২
(no caption)
(no caption)

বাংলাদেশ চলতি বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পোশাক খাতে ইউরোপে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি করেছে।  যা গাণিতিক হিসেবে গত বছর একই সময়ের তুলনায় ৪৩.২১ শতাংশ বেশি।

ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ‘ইউরোস্ট্যাট’ ২০২২ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানির সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখিত সময়কালে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি ৪৩.২১ শতাংশ বেড়ে ১ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকার বেশি দাঁড়িয়েছে। যেখানে বিশ্ব থেকে তাদের আমদানি ২৭.৮৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরও পড়ুন: ডিএসইতে বড় দরপতন: ১৩ কার্যদিবসে সর্বনিম্ন লেনদেন

আগের মতোই বাংলাদেশ ২২.৫৬ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ইউরোপে পোশাক আমদানিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস এবং চীন ২৯.০৪ শতাংশ শেয়ার নিয়ে তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে, ইইউ ২০২২ সালের প্রথম নয় মাসে চীন থেকে দুই লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে, যেখানে বাৎসরিক প্রবৃদ্ধি ছিল ২৫.১৯ শতাংশ।

আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর আইনগত ভিত্তি নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা

অন্যদিকে, তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক আমদানির উৎস, তুরস্ক থেকে ইইউ এর আমদানি ৯৭ কোটি ২১ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। সেখানে বাৎসরিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪.৮৬ শতাংশ। অন্যদিকে, ভারত থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বেড়েছে ১৫.৮৫ শতাংশ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ দশ পোশাক সরবরাহকারীর মধ্যে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধিসহ অন্যান্য দেশগুলো হলো কম্বোডিয়া ৪১.০৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ৩৩.৪৬ শতাংশ  এবং পাকিস্তান ৩০.৭৬ শতাংশ।

বিজিএমইএ'র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইউরোপে আমাদের যে প্রবৃদ্ধি সেটা অত্যন্ত ভাল একটা দিক। এভারেজ থেকেও ওখানে আমরা ভাল অবস্থানে আছি। তালিকায় প্রথম স্থানে থাকা চীনের ওখানে যে শেয়ার ভ্যালু সেটি টাকার অংকে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫৩ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি। আর যদি আমরা প্রবৃদ্ধির হিসেব যদি করি সেখানে চীন থেকে আমাদের ১৮.০২ শতাংশ বেশি। এটা আমাদের জন্য আনন্দের সংবাদ। যদিও, তাদের সঙ্গে আমাদের রপ্তানি পার্থক্য অনেক বেশি, কিন্তু ইউরোপের বাজারে সেটি সংকুচিত হয়ে আসছে।