২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ
সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন কমলো ২৮০টি
দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে আসন সংখ্যা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এতে মোট ৩৫৫টি আসন কমানো হয়েছে, যদিও তিনটি কলেজে ৭৫টি আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে চূড়ান্তভাবে আসন কমেছে ২৮০টি, এবং সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট আসন নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ১০০টি।
সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের (চিকিৎসা শিক্ষা-১) সিনিয়র সহকারী সচিব সঞ্জীব দাশ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের আইবিএ এমবিএ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন
এতে বলা হয়েছে, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর আসন পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এই পরিবর্তনের পর মোট আসন সংখ্যা নির্ধারণ হয়েছে ৫ হাজার ১০০টি। আসন কমানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনটি কলেজে কিছুটা আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে, ফলে মোট আসন কমেছে ৩৫৫টি।
পুনর্বিন্যাসে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট এমএজি ওসমানী, বরিশাল শের-ই-বাংলা, ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ২৫টি করে আসন কমানো হয়েছে। এছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ২৩০ থেকে কমিয়ে ২২৫টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্যোতির্বিদদের অনুসন্ধানে উন্মোচিত মহাবিশ্বের রহস্য
হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজের আসন কমিয়ে ৫০ করা হয়েছে। নেত্রকোনা, নীলফামারী, নওগাঁ, মাগুরা ও চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের আসনও ২৫ করে কমিয়ে ৫০ করা হয়েছে। অন্যদিকে তিনটি কলেজে আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ এবং টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে ২৫ করে বাড়িয়ে ১২৫ এবং পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ২৫ বাড়িয়ে ১০০ আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যান্য সরকারি মেডিকেল কলেজের আসন অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। কুমিল্লা, খুলনা, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান, ফরিদপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে ২০০টি করে আসন রয়েছে। পাবনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া, জামালপুর এবং মুগদা মেডিকেল কলেজে ১০০টি করে আসন। গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ১২৫টি করে এবং সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ৭৫টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসন পুনর্বিন্যাসের লক্ষ্য শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং কলেজগুলোর সক্ষমতার সঙ্গে ছাত্রসংখ্যা সমন্বয় করা। তাদের মতে, এই পরিবর্তন সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার মান ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।





