জাতীয়করণের দাবিতে ২৪ দিন ধরে আমরণ অনশনে ইবতেদায়ি শিক্ষকরা
দেশের ৪০২ জন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষক জাতীয়করণের দাবিতে টানা ২৪ দিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ও আমরণ অনশন চালাচ্ছেন। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, অনশনে অংশগ্রহণকারী সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে অনশনে কোনো শিক্ষক অসুস্থ বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর দায় শিক্ষা উপদেষ্টাকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
গত সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটি’ এই ঘোষণা দেন। শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না। তারা আরও জানান, ১১ নভেম্বর দুপুর ১টা থেকে অর্ধদিবস অনশন এবং ১২ নভেম্বর থেকে লাগাতার অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের আইবিএ এমবিএ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন
শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের স্বীকৃতি পেয়েছে। সরকারি বিধি অনুযায়ী ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে। ১৯৯৪ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা অনুদানভুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ১,৫১৯টি মাদরাসা অনুদানভুক্ত হয়। এর ফলে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোর সঙ্গে বৈষম্য আজও চলমান।
শিক্ষকরা বলছেন, অনুদানবিহীন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোকে এমপিওভুক্ত করার জন্য জাতীয়করণের ঘোষণা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। এর আগে ৫ নভেম্বর তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন, ১১ নভেম্বর বেলা ১২টার মধ্যে জাতীয়করণের ঘোষণা বাস্তবায়িত না হলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: জ্যোতির্বিদদের অনুসন্ধানে উন্মোচিত মহাবিশ্বের রহস্য
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ১,০৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সংক্রান্ত ফাইলে প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষর করেছেন। তবে আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবেন না।





