সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে চবির একাধিক হলে দেখা গিয়েছে ফাটল, টনক নড়েনি প্রশাসনের

Sanchoy Biswas
মো. সাবিত বিন নাছিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:২৬ অপরাহ্ন, ২৩ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১২:২২ অপরাহ্ন, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

গত ২২ নভেম্বর, শুক্রবার, বেলা ১০ টা ৩৮ মিনিটে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে সারাদেশ। উৎপত্তিস্থল রাজধানী ঢাকার খুব কাছে হওয়ায় সেখানে তুলনামূলক বেশি ঝাকুনি অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে চট্টগ্রাম বেশ দূরে থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতেও এর প্রকোপ দেখা গিয়েছে।

শুক্র ও শনি এই দুইদিনে মোট ৪ বার ভূমিকম্প মোটামুটি দেশের সব জায়গায় অনুভূত হয়েছে। তবে শুক্রবারের ভূমিকম্পে অনেকটা বেশিই ক্ষতিগ্রস্থ হয় চবির কিছু হল।

আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের আইবিএ এমবিএ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন

এর মধ্যে চবির শাহজালাল হলের মেয়াদ প্রায় অনেক আগেই শেষ, তা সত্ত্বেও সেখানে এখনো প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী অবস্থান করছে। ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শাহজালাল হল এবং শাহ আমানত হল। এক্ষেত্রে চাকসু নির্বাচনের পরও প্রশাসন কোন ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে না। ফলে এ ধরনের গাফিলতির জন্য প্রাণ হারাতে পারে ৮০০ এর বেশি শিক্ষার্থী।

চবির শাহ আমানত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রোমান হোসেন বলেন, "ভূমিকপে আমানত হলের ৪০৯ নাম্বার রুমে ফাটল দেখা গিয়েছে। যদি আরও বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হয়ে থাকে, হয়তো আরও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হতে পারত। এই ব্যাপারে হল প্রশাসন কোনো ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।"

আরও পড়ুন: জ্যোতির্বিদদের অনুসন্ধানে উন্মোচিত মহাবিশ্বের রহস্য

শাহজালাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মারুফ বলেন, "মেয়াদউত্তীর্ণ এই হলে থাকাটাই এখন আতংকের। ভূমিকম্পের আগেও অনেকবার সিলিং থেকে পলিস্টার খসে আহত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এইবারের ভূমিকম্পে বিভিন্ন রকমের ফাটল এবং পলিস্টার খসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে এই ব্যাপারে হল প্রশাসনের যেন কোনো মাথাব্যাথাও নেই।"