রমজানের শুরুতে গাজায় তীব্র মানবিক সংকট

বাংলাবাজার পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, ১১ মার্চ ২০২৪ | আপডেট: ৭:১১ পূর্বাহ্ন, ১১ মার্চ ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সারাবিশ্বেই মুসল্লিদের কাছে রমজান মাস অত্যন্ত পবিত্র মাস। এই রমজান মাসের শুরুতে গাজায় আরও তীব্র হয়েছে মানবিক সংকট। প্রয়োজনের তুলনায় গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা খুবই অপ্রতুল সহায়তা পাচ্ছে। খাবারের জন্য সেখানকার লোকজন মরিয়া হয়ে উঠেছে। তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা গাজায় কোনো ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশেরও অনুমতি দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী।

পবিত্র এই রমজানের শুরুতেও ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা। গাজাজুড়ে এখনও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আলোর মুখ দেখেনি যুদ্ধবিরতি চুক্তিও।

আরও পড়ুন: ইউক্রেন চুক্তি নিয়ে পুতিনের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ট্রাম্প, জেলেনস্কির উপস্থিতি নিয়ে নতুন তথ্য

উত্তর গাজায় অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ৪৫ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন ও আহত হয়েছেন আরও ৭২ হাজার ৬৫৪ জন।

রমজান মাসকে সামনে রেখে এক বার্তায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ গাজার ওপর এই জঘন্য যুদ্ধ বন্ধ করতে ইসরায়েল ও এর মিত্র বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু পবিত্র রমজানেও হামলা বন্ধের ব্যাপারে ইসরায়েলি বাহিনীর কাছ থেকে তেমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের অভিযানে অংশ নেওয়া পাইলটদের সর্বোচ্চ সামরিক পদক দিলো পাকিস্তান

এছাড়া রমজানেও আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। রোববার চাঁদ দেখা যাওয়ায় সোমবার (১১ মার্চ) থেকে ফিলিস্তিনিরা রোজা পালন করছেন। কিন্তু রোববার সন্ধ্যায় তারাবি নামাজের জন্য হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আল-আকসায় প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের বাঁধা দেওয়া হয়। ওয়াফা নিউজ এজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি পুরুষ এবং ফিলিস্তিনি তরুণীদের আল-আকসায় প্রবেশে বাঁধা দিয়েছে। সেখানে ৪০ বছরের বেশি বয়সী লোকজনকেই শুধু নামাজ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

গত কয়েক মাস ধরেই মুসলিমদের কাছে তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তুলকারেম, বালাতা ক্যাম্প, নাবলুসের পূর্বাঞ্চলে অভিযান চালানো হয়েছে।