ইরাভানির সতর্কবার্তা
ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে এখনই বিশ্বকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে
ইসরায়েলের চলমান কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইরাভানি বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের ওপর আইনি ও নৈতিক উভয় দায়িত্বই রয়েছে—যে কোনো স্থানে গণহত্যা সংঘটিত হলে তা প্রতিরোধ ও দমন করা।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ‘গণহত্যার শিকারদের স্মরণ ও মর্যাদা রক্ষার আন্তর্জাতিক দিবস’-এর দশম বার্ষিকী অধিবেশনে তিনি বলেন, গণহত্যা প্রতিরোধ কোনো আদর্শিক লক্ষ্য নয়; এটি আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যতামূলক নির্দেশনা।
আরও পড়ুন: রাতভর ঝড়-বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে গাজার মানুষ
ইরাভানি বলেন, দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত কমিশন যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে স্পষ্টভাবে দেখা যায়—গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার পর্যায়ে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইন ইসরায়েল বারবার লঙ্ঘন করেছে, যা জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা বহুবার নথিভুক্ত করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ICJ) গাজায় সংঘটিত ঘটনাকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে পরামর্শমূলক মত দিয়েছে। আদালত উল্লেখ করেছে—গাজায় নারীদের ও শিশুদের লক্ষ্য করে হামলা, নির্বিচার বোমাবর্ষণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস, যৌন সহিংসতা, নির্যাতন, খাদ্য-অবরোধ ও মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত করা—সবই গণহত্যার গুরুতর উপাদান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ‘ট্রাম্প গোল্ড ভিসা’ চালু, নাগরিকত্বে সরাসরি পথ
পশ্চিমা দেশের ভূমিকা ও মিডিয়ার ভাষা নিয়ে ক্ষোভ
ইরাভানি অভিযোগ করেন, পশ্চিমা দেশের অনেক সরকার কূটনীতির আড়ালে থেকে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে স্বাভাবিকতা প্রদান করছে, যা আন্তর্জাতিক আইন বিকৃত করে ঔপনিবেশিক বর্ণনাকে শক্তিশালী করছে। তিনি বলেন, ‘গণহত্যা নীরবতায় ঢাকা যায় না; নীরবতা কেবল অপরাধীদের উৎসাহিত করে।’
পাশাপাশি তিনি পশ্চিমা গণমাধ্যমকে ইসরায়েলের পক্ষে মানুষের প্রতি অবমাননাকর ও অমানবিক ভাষা ব্যবহার করার অভিযোগও তোলেন।
জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান: সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিন
ইরাভানি জোর দিয়ে বলেন, শুধু স্মরণ অনুষ্ঠান নয়—জাতিসংঘকে এখন প্রকৃত নৈতিক নেতৃত্ব দেখাতে হবে। তিনি বলেন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমন্বিত ও কঠোর পদক্ষেপ ছাড়া ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ হবে না এবং নিরপরাধদের মর্যাদা রক্ষা করা সম্ভব নয়।
মেহের নিউজ





