হাদির মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে দ্রুত নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জাতিসংঘের
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ সরকারকে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জেনেভা থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক বলেন, দেশে শান্তি বজায় রাখা এবং দায়ীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি উল্লেখ করেন, গত বছর বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত।
আরও পড়ুন: ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনের সিনেট অনুমোদন
বিবৃতিতে বলা হয়, গত সপ্তাহে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়ার পর গতকাল সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শরিফ ওসমান বিন হাদি। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার এবং সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রতিশোধ কেবল বিভেদকে আরও গভীর করবে এবং সবার অধিকার ক্ষুণ্ন করবে।
একই সঙ্গে মানবাধিকার কমিশনার অন্তর্বর্তী সরকারকে হাদির মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনার আহ্বান জানান। পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার তাগিদও দেন তিনি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্ত, ক্রীড়া তারকা গ্রেগ বিফেলসহ ৭ জন নিহত
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা দুই সন্ত্রাসীর গুলিতে মারাত্মক আহত হন শরিফ ওসমান বিন হাদি। রিকশায় থাকা অবস্থায় তার মাথায় গুলি লাগে। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে (এসজিএইচ) তিনি মৃত্যুবরণ করেন।





