বাংলাদেশে সাংবাদিক দমনকারী আইন আছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:৫৮ অপরাহ্ন, ২৪ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজ্যের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকতার ওপর নিয়ন্ত্রণের জন্য রাষ্ট্র বিভিন্ন আইনের ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, আকাশের যত তারা, আইনের তত ধারাসেগুলোই প্রয়োগ করা হয় সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণে।

আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ ও গঠন বৈধ: আপিল বিভাগ

সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৫’-এর তৃতীয় দিনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ’ শীর্ষক পর্বে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন: ইন্টারনেট বন্ধ রেখে গণহত্যা, জয়ের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

অ্যাটর্নি জেনারেল উল্লেখ করেন, ক্ষমতায় যেই থাকুক না কেন, সাংবাদিক দমন করার প্রবণতা বহুদিনের, যা ব্রিটিশ শাসনকাল থেকে চলে আসছে। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের পর প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে তিনি ‘প্রতারণা’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, অতীত সরকারের সময়ে এসব আইন অপপ্রয়োগের ফলে সাংবাদিকতা নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ ও কলম থামানোর সকল নিবর্তনমূলক আইনের অবসান হওয়া প্রয়োজন। শুধু আইন বাতিল করলেই হবে না, রাষ্ট্রের মানসিকতারও পরিবর্তন জরুরি।

বর্তমান সরকারের বিষয়ে তিনি জানান, ক্ষমতায় আসার পর গুমের ঘটনা ঘটেনি, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডও কমেছে এবং গত ১৭ মাসে পুলিশ নিজে বাদী হয়ে কোনো ‘গায়েবি মামলা’ করেনি।

অ্যাটর্নি জেনারেল ভবিষ্যত নির্বাচিত সরকারের প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, তারা যেন সাংবাদিক দমনমূলক নীতিতে ফিরে না যায় এবং সব ধরনের দমনমূলক আইনি পথ থেকে সরে আসে।

আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারা হোসেন, অধ্যাপক সাজ্জাদ সিদ্দিকী ও ট্রায়াল ওয়াচের জ্যেষ্ঠ প্রোগ্রাম ম্যানেজার মানেকা খান্না। সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন রোমান উদ্দিন।