যে ছয় অভ্যাস অজান্তেই নষ্ট করে দিতে পারে সম্পর্ক
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে কোনো সম্পর্ক গভীর হয়। তবে সম্পর্ক মানেই সবসময় হাসি-খুশিতে ভরা জীবন নয়। নানা কারণে মনোমালিন্য, ভুল বোঝাবুঝি বা তর্ক-বিতর্ক তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক। তবে অনেক সময় অজান্তেই সম্পর্কের মধ্যে এমন কিছু আচরণ বা অভ্যাস ঢুকে পড়ে যা ধীরে ধীরে সম্পর্ককে জটিল করে তোলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্পর্কে থাকা অবস্থায় নিজের কিছু আচরণে পরিবর্তন আনলেই অনেক ঝামেলা কমে যেতে পারে। কোন ভুলগুলো অধিকাংশ মানুষ না বুঝেই করে ফেলেন? জেনে নিন—
আরও পড়ুন: জেনে নিন এক কাপ আদা পানি খাওয়ার উপকার কী?
১. যোগাযোগ কমে যাওয়া
সম্পর্কের শুরুতে সারাদিন কথা হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ কমে যায়। ব্যস্ততার কারণে দূরত্ব তৈরি হয়। সমস্যা হল, অনুভূতি জমিয়ে রেখে হঠাৎ কোনো ঝামেলায় তা বিস্ফোরণের মতো প্রকাশ পাওয়া—যা সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
আরও পড়ুন: শীতকালে প্রতিদিন ঘি খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়
২. সংক্ষিপ্ত ও উদাসীন জবাব
সঙ্গী দীর্ঘ মেসেজ পাঠালেও ‘ওকে’, ‘হুম’–এর মতো সংক্ষিপ্ত উত্তর দিলে ভুল বার্তা যায়। এতে সঙ্গীর অভিমান ও ভুল বোঝাবুঝি বাড়ে।
৩. শোনার অভ্যাস না থাকা
আলোচনায় বসলে অনেকেই সঙ্গীর কথা না শুনেই নিজের বক্তব্য দিতে শুরু করেন। এতে অপরজন মনের কথা বলার সুযোগ পান না, যা সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে।
৪. পুরোনো প্রসঙ্গ টেনে আনা
অশান্তি সম্পর্কের অংশ হলেও ঝগড়ার সময় পুরোনো সমস্যা ঘেঁটেঘুঁটে আনা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তোলে।
৫. মনে কথা চেপে রাখা
অনেকেই মুখ ফুটে নিজের অনুভূতি বলেন না, ভাবেন সঙ্গী নিজে থেকেই সব বুঝবে। কিন্তু তা না হলে অভিমান জমে পাহাড় হয়, যা দূরত্ব বাড়ায়।
৬. যেকোনো মূল্যে জিততে চাওয়া
প্রতিটি তর্কে জেতার চেষ্টা সম্পর্কের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। কারণ সম্পর্ক প্রতিযোগিতা নয়—সহযোগিতার জায়গা। সম্পর্ককে সুন্দর রাখতে হলে এসব ভুল অভ্যাস এড়িয়ে খোলামেলা কথা বলা, বোঝাপড়া ও ধৈর্যকে প্রাধান্য দেওয়াই সবচেয়ে কার্যকর উপায়।





