ফ্যাটি লিভার কমাতে সহায়ক ৩ প্রাকৃতিক পানীয়
ফ্যাটি লিভার এমন একটি রোগ, যা বিশ্বজুড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষকে ভোগাচ্ছে। যদিও ৯০–১০০ শতাংশ অ্যালকোহল গ্রহণকারীর মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়, তবে অ্যালকোহল ছাড়াও বিপাকজনিত সমস্যা, স্থূলতা ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণেও ফ্যাটি লিভার হতে পারে। আমেরিকান লিভার ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রায় ১০ কোটি মানুষ অ্যালকোহলবিহীন ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত।
ওষুধ ও সাপ্লিমেন্ট ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হলেও সেগুলো অনেক সময় ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে। তাই বিশেষজ্ঞরা প্রাকৃতিক উপায়ে জীবনযাপনে পরিবর্তনের ওপর জোর দেন। স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম এবং দৈনন্দিন রুটিনে কিছু উপকারী পানীয় যুক্ত করলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। জেনে নেওয়া যাক এমনই তিনটি কার্যকর পানীয় সম্পর্কে—
আরও পড়ুন: স্মার্টফোন শিশুদের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?
গ্রিন টি
গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়। এতে থাকা ক্যাটেচিন নামের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন ত্বকের বয়স কমাতে কী খাবেন
২০১৫ সালে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল মেডিসিন-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত গ্রিন টি পানকারীদের লিভারে চর্বি জমার ঝুঁকি তুলনামূলক কম। এ ছাড়া গ্রিন টি খাবার থেকে ফ্যাট শোষণকারী এনজাইমের কার্যকারিতা কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে।
আদা চা
আদা ৪০০টির বেশি জৈব সক্রিয় উপাদান ও প্রায় ৪০ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। হেপাটাইটিস মান্থলি-তে ২০১৬ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, ১২ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন দুই গ্রাম আদা গ্রহণ করলে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা ও লিভারের প্রদাহ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে।
দিনে অন্তত এক কাপ আদা চা ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, বমিভাব কমানো ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়ক।
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ একটি পানীয়। ২০২১ সালে BMC Complementary Medicine and Therapies-এ প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, এটি টাইপ–২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
রক্তে শর্করা ও ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে থাকলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকিও কমে। তবে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার সব সময় পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে এবং স্ট্র ব্যবহার করে পান করা উচিত, কারণ সরাসরি পান করলে দাঁতের এনামেলের ক্ষতি হতে পারে।





