এনআইডি সার্ভারে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মাঠ কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করলো ইসি

Shakil
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২:৪৬ অপরাহ্ন, ৩০ মার্চ ২০২৩ | আপডেট: ৯:১৬ পূর্বাহ্ন, ৩০ মার্চ ২০২৩
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন সার্ভারে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মাঠ কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে সব উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নিজের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ও ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) কারো কাছে না দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি। এতে কোনো ব্যত্যয় হলে সব দায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকেই নিতে হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

সম্প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে এই নির্দেশনাটি এনআইডি অনুবিভাগের সিস্টেম অ্যানালিস্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ব্যবস্থাপনা অধিশাখার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম মাঠ কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

আরও পড়ুন: নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে বিদায় নেবো: ধর্ম উপদেষ্টা

এতে উল্লেখ করা হয়েছে- লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রশিক্ষণ, মিটিং, ছুটিতে থাকার কারণে উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা তার সিএমএস এবং আপলোডারের  ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড এবং ওটিপি নিজ অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, স্টেনোটাইপিস্ট ও অফিস সহকারীদের সঙ্গে শেয়ার করে থাকেন, যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ইউজার দিয়ে সিএমএস বা আপলোডারে লগইন করে কোনো এনআইডি সংশোধন অনুমোদন করে দিলে, কোনো একটি নতুন ভোটারের ডাটা সার্ভার হতে আপলোড করে দিলে অথবা অন্য কোনো কার্য সম্পাদন করলে এর জন্য উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসারই দায়ী থাকবেন।

উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরকে সিএমএস, আপলোডারে লগইন করার জন্য যে ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে এবং লগইনের সময় মোবাইলে যে ওটিপি যাবে তা নিজ দফতরের কোনো কর্মচারীর সঙ্গে শেয়ার না করার জন্য অনুরোধ করা হলো। যদি কখনো করা হয়, তাহলে ওই ইউজার আইডি থেকে যে সংশোধন অনুমোদন, নতুন ভোটার আপলোডসহ যেসব কাজ করা হবে তা সংশিষ্ট কর্মকর্তা করেছেন বলে গণ্য হবে।

আরও পড়ুন: বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকাশ করা হয়নি উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদের হিসাব

এছাড়া, উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তার ইউজার আইডি দিয়ে সিএমএস এ লগইন করে অনলাইন এপ্লিকেশনে গিয়ে প্রভিশনাল ভোটারে ক্লিক করে যেসব নতুন ভোটার বা বায়ো-আপডেট ডাটার স্ট্যাটাস আপলোডিং পাওয়া যাচ্ছে, সেসব ভোটারের ডাটা পুনরায় উপজেলা ও থানা নির্বাচন অফিস থেকে আপলোড করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাকআপে সংরক্ষিত ডাটা থেকে ডাটার স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে চেক করে নিতে হবে। প্রয়োজনীয় ম্যানডেটরি ডকুমেন্ট/বায়োমেট্রিক (যেমন ফরম ২ এর ২ পৃষ্টা, ছবি, স্বাক্ষর ইত্যাদি) সংযুক্ত হয়েছে কি-না, না থাকলে ডকুমেন্টগুলো এটাচ করে এরপর আপলোড করতে হবে।

যেসব নতুন ভোটার/বায়ো-আপডেট ডাটার স্ট্যাটাস আপলোডিং দেখাচ্ছে সেসব ডাটার সমস্যা উপজেলা/ থানা নির্বাচন অফিস থেকেই করতে হবে। এনআইডি উইং থেকে সমাধানের কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে কোনো পত্র এনআইডি অনুবিভাগে না পাঠিয়ে উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকেই সমাধান করার জন্য উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারদেরকে অনুরোধ করা হলো।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোপূর্বে ল্যাপটপ মডেম ব্যবহার করে কিছু মাঠ পর্যায়ের কর্মচারী অসদুপায় অবলম্বন করেছেন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের শাস্তির আওতায়ও আনা হয়েছে। বর্তমানে অনেক কর্মকর্তাই সরল বিশ্বাসে তার অধস্তনদের কাছে ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড দিচ্ছেন, যা কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।