বাল্যবিবাহ নিরসনে প্রচেষ্টা আরো জোরদার করেছে সরকার : সিমিন হোসেন

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:০৩ অপরাহ্ন, ০৫ জুন ২০২৪ | আপডেট: ৫:৪৬ অপরাহ্ন, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক সমস্যা। ইউএনএফপিএ ও ইউনিসেফের সহায়তায় বাল্যবিবাহ নিরসনে প্রচেষ্টা আরো জোরদার করেছে সরকার। বাল্যবিবাহ  প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে বলে জানান মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম  মেম্বার সিমিন হোসেন (রিমি)। 

আজ রাজধানীর এক হোটেলে UNFPA-UNICEF এর যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত Global Programme  to End Child  Marriage (GPECM)  এর তৃতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন। 

আরও পড়ুন: নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ নেই: ড. ইউনূস

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সম্পদ সীমাবদ্ধ, বিশ্বায়নের এই যুগে আমরা পরস্পরের সহযোগিতা ও রিসোর্স শেয়ারিং এর মাধ্যমে আমাদের কার্যক্রমকে আরো সমৃদ্ধ ও আরো গতিশীল করতে পারব। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা অন্যান্য দেশের কার্যক্রম এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তাদের কার্যকরী উদ্যোগ ও ইনোভেশন সম্পর্কে জানতে পারছি এবং একই সাথে সেটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কতটুকু কার্যকর তা পরীক্ষা করার সুযোগও পাচ্ছি। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাল্যবিবাহ নির্মুল করা শুধুমাত্র সরকার বা একক কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভব নয়। গত ৫০ বছরে ডেভেলপমেন্ট পার্টনারের সহযোগিতায় বাংলাদেশ বাল্যবিবাহের হার উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে। 

আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, কোনো শক্তি বিলম্বিত করতে পারবে না: প্রেস সচিব

তিনি বলেন, বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে বিয়ে বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এটি শুধুমাত্র একটি সাময়িক সমাধান। আমাদের এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে কেউ বাল্যবিবাহের চিন্তা না করে। মানুষের চিন্তা চেতনার জায়গায় পরিবর্তন আনতে আমরা কাজ করছি । বাল্যবিবাহের যে প্রথা ও রীতিগুলো রয়েছে সেগুলোকে ভাঙতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাল্যবিবাহ হলো আমাদের সম্পদের অপচয়। একটি কিশোরীর বাল্যবিবাহ শিকার হওয়া মানে সে সম্পদে পরিণত না হয়ে দায়ে পরিণত হয়। বাল্যবিবাহ রোধে পিতা-মাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন আপনারা

কন্যা সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করুন আপনার এই বিনিয়োগ দ্বিগুণ হয়ে ফিরে আসবে।