জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নজরে রাখার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:২৪ অপরাহ্ন, ২২ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ৫:২৬ পূর্বাহ্ন, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। ছবিঃ সংগৃহীত
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। ছবিঃ সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নজরে রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে যশোর কালেক্টরেট মিলনায়তনে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীসহ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। মব জাস্টিস আর অ্যালাউ করা হবে না। কারও কোনো কিছু বলার থাকলে আইনের আশ্রয় নিতে হবে।

আরও পড়ুন: কক্সবাজারে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ ফারুকী, ঢাকায় আনা হয়েছে

তিনি আরও বলেন, পুলিশকে মাঠে কাজে নামতে হবে। তবে পুলিশ সিভিল ড্রেসে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না। পুলিশে তেলবাজি ব্যবস্থা ফেরার চেষ্টা হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নয়নে কমিউনিটি পুলিশিং বাড়াতে হব।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'মাদকের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলতে হবে। মাদক বন্ধে অ্যাকশন না নিলে চাকরি থাকবে না। আমরা নিরাময় কেন্দ্র খুলতে চাই না, মাদক বন্ধ করতে চাই। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর পুলিশে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। বদলি বাণিজ্যও নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।'

আরও পড়ুন: ৮৪ দফা ও ৮ অঙ্গীকার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে জাতীয় জুলাই সনদের খসড়া

ওসিদের ঘুষ নেওয়া বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'তদবির প্রথা এখনও বন্ধ হয়নি। অনেকেই তদবির করেন। উপদেষ্টা হওয়ার পর আমার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যা বেড়ে গেছে। যাদের অনেক আমিও চিনি না। ফলে আমার নামে কেউ তদবির করলে প্রথমে চা নাস্তা খাওয়াবেন। তারপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।'

মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, যশোর সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল জেএম ইমদাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুলিশের খুলনা বিভাগের ডিআইজি মো. রেজাউল হক, জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহানসহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।