বৃষ্টি থামাতে পারেনি ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’
মানিক মিয়া এভিনিউজুড়ে জনতার ঢল ও সাংস্কৃতিক উৎসব

ঐতিহাসিক ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ এলাকায় শুরু হয়েছে জনতার ঢল। রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষ ও তরুণ প্রজন্মের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সমাবেশস্থল রূপ নিয়েছে এক সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক মিলনমেলায়।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট ঘিরে আ. লীগ-ছাত্রলীগকে সড়কে নামতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার
তবে এই উদ্দীপনার মাঝেই বাধা হয়ে এসেছে বৃষ্টি। দুপুর দেড়টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা গেছে, কখনো মেঘলা আকাশে সূর্য লুকিয়ে পড়ছে, কখনো আবার ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে ভিজছে পুরো এলাকা। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়া ঠেকাতে পারেনি জনতার উৎসাহ। বরং সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি প্রশিক্ষণে বাড়লো ভাতা ও সম্মানী
বৃষ্টি শুরু হলে অনেকেই গাছের নিচে আশ্রয় নিচ্ছেন, কেউ ছাতা নিয়ে, কেউ বা ছাতা ছাড়া ভিজছেন এবং অংশ নিচ্ছেন স্লোগানে। অনেকেই জাতীয় পতাকা কাঁধে জড়িয়ে কিংবা গায়ে ‘জুলাই সনদ’ ব্যাজ লাগিয়ে হাজির হয়েছেন বৃষ্টিস্নাত সমাবেশে।
অনুষ্ঠানে আসা এক তরুণ বলেন, “বৃষ্টি আমাদের থামাতে পারবে না। এই লড়াই বৃষ্টি নয়, বুলেট ঝরলেও চলবে।”
আরেকজন ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, “জুলাই জাগরণ আমাদের আত্মার প্রশ্ন। এ মঞ্চ ছাড়ার প্রশ্নই আসে না।”
আয়োজকদের পক্ষ থেকে বৃষ্টির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিকল্প সাউন্ড সিস্টেম, প্লাস্টিক কভার ও শুকনো কাপড় সরবরাহ করছে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। বেলা ১১টায় সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ নামের দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শুরুতেই ওস্তাদ তোফাজ্জেল হোসেনের লেখা ‘এই দেশ আমার বাংলাদেশ, আমার ভালোবাসা’ গানটি পরিবেশন করা হয়।
দিনব্যাপী এই আয়োজনে পরিবেশনা করবেন দেশের বিভিন্ন ব্যান্ড, শিল্পীগোষ্ঠী ও একক শিল্পী। থাকছে ধর্মীয় বিরতির পর ঐতিহাসিক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ এবং ড্রোননির্ভর নাট্য-উপস্থাপনা। অনুষ্ঠান চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, “এটি কেবল একটি উৎসব নয়; এটি একটি প্রজন্মের চেতনাগত পুনর্জন্মের প্রতীক। জুলাই আমাদের আশা, আমাদের জেগে ওঠা।”