রাজপথেই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন করলো ছাত্র-জনতা

দীর্ঘতম মাস জুলাইয়ের ৩৬তম দিনে লাখো জনতার অভূতপূর্ব সমাবেশ হয়েছিল ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। স্বৈরাচারের পতনের বর্ষপূর্তিতে ঠিক একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হলো সংসদ ভবন এলাকায়। দিনভর শ্রাবণের বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে শেখ হাসিনার পতনের প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছে ছাত্র-জনতা। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজপথেই যেন রক্তাক্ত সেই দিনের স্মৃতিচারণা করেছে বিপ্লবীরা।
সকাল থেকেই ছাত্র-জনতার অপেক্ষা ছিল বহুল প্রত্যাশিত জুলাই ঘোষণাপত্র-এর জন্য। বিকেল ৫টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠানস্থলে প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত হলে পুলিশের বেষ্টনী ভেদ করে জুলাইয়ের উত্তাল দিনে রাজপথে থাকা বিপ্লবীরা অনুষ্ঠানস্থলের কাছাকাছি চলে আসেন। প্রতীক্ষিত ঘোষণাপত্র পাঠের পর অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট ঘিরে আ. লীগ-ছাত্রলীগকে সড়কে নামতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার
দিনটি উদযাপনে সরকারের পক্ষ থেকে এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বেলা ১২টায় শুরু হওয়া এই আয়োজনে জুলাইয়ের আন্দোলনে অনুপ্রেরণা জোগানো নানা গান পরিবেশন করেন গুণী শিল্পীরা।
বিকেল ২টা ২৫ মিনিটে শেখ হাসিনার গণভবন থেকে হেলিকপ্টারে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্যটি ফুটিয়ে তোলা হয় পাঁচ শতাধিক বেলুন উড়িয়ে। এ দৃশ্য দেখে উপস্থিত জনতা উল্লাসে ফেটে পড়ে।
আরও পড়ুন: সরকারি প্রশিক্ষণে বাড়লো ভাতা ও সম্মানী
ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা, দ্রুত গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার এবং স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটাতে অন্তর্বর্তী সরকার আমূল সংস্কার বাস্তবায়ন করবে। রক্তক্ষয়ী এই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ছাত্র-জনতা বৈষম্যহীন ও সত্যিকারের মানবিক বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থান বাঙালি যে কোনো স্বৈরতন্ত্রের কাছে মাথা নোয়ায় না, তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।