নিরাপত্তাসহ দুই দফা দাবিতে বিচারকদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:১৪ অপরাহ্ন, ১৪ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৪:১৪ অপরাহ্ন, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহীর মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের বাসায় দুর্বৃত্তের হামলায় তার ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনের মৃত্যু এবং স্ত্রী তাসমিন নাহার গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দুই দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সংগঠনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম ও মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানানো হয়।

অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম দাবি, দেশের প্রতিটি আদালত, বিচারকের সরকারি আবাসন ও ব্যক্তিগত বাসা এবং তাদের যাতায়াতের সময় অবিলম্বে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। দ্বিতীয় দাবি, বিচারকের নিরাপত্তায় অবহেলা এবং গ্রেপ্তার আসামিকে আইন বহির্ভূতভাবে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরও পড়ুন: তফসিল ও ভোটের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান ইসির

বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি জানানো হয়, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিচারকদের নিরাপত্তা ও কাজের পরিবেশ নিশ্চিত না হলে রোববার (১৬ নভেম্বর) থেকে সারাদেশে বিচারকেরা কলমবিরতি পালনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

সংগঠনটি বলেছে, দিনের আলোয় বিচারকের পরিবারে এমন বর্বর হামলার ঘটনায় পুরো বিচার বিভাগ শোকাহত ও উদ্বিগ্ন। তারা দাবি করে, সুপ্রিম কোর্ট বহুবার আদালত প্রাঙ্গণ, এজলাস, ট্রাইব্যুনাল, বিচারকদের বাসভবন ও গাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে চিঠি দিলেও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করলেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হবে খালেদা জিয়াকে: মির্জা ফখরুল

অ্যাসোসিয়েশন আরও উল্লেখ করেছে, জেলা পর্যায়ের বিচারকদের জন্য সরকারি আবাসন, নিরাপদ পরিবহন ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় অনেকেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে ভাড়া বাসায় থাকতে বাধ্য হন এবং রিকশা, ভ্যান বা পায়ে হেঁটে যাতায়াত করেন। এমন পরিস্থিতির কারণেই বিচারক পরিবারের ওপর এ ধরনের ট্র্যাজেডি নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করে সংগঠনটি।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিচারক আব্দুর রহমানের বাসায় ঢুকে এক ব্যক্তি তার ছেলে তাওসিফকে হত্যা করে এবং স্ত্রীকে মারাত্মকভাবে আহত করে। হামলাকারীও আহত অবস্থায় আটক হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান জানান, হামলাকারীর কাছে পাওয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে ধারণা করা হচ্ছে তিনি পেশায় চালক এবং পূর্ববিরোধের জেরে এ হামলা ঘটতে পারে।