মহান বিজয় দিবসে দেশজুড়ে র‌্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে সারাদেশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও জনসমাগমপূর্ণ এলাকাগুলোতে র‌্যাবের দৃশ্যমান উপস্থিতি, টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

র‌্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গভবন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনসহ সারাদেশে বিজয় দিবস ঘিরে গৃহীত সব নিরাপত্তা কার্যক্রম বাস্তবায়নে র‌্যাব ফোর্সেস মাঠে রয়েছে।

আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় বড় পুনর্বিন্যাস, নতুন যুক্ত হচ্ছেন ৮৪ জন

সার্বিক ঝুঁকি পর্যালোচনা করে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জারি করা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সব নির্দেশনা কার্যকর করতে র‌্যাব সদস্যরা কাজ করছেন।

র‌্যাব জানায়, গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ব্যাটালিয়নের আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যু ও আশপাশের এলাকায় টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব সদস্য মোতায়েন রেখে নিরাপত্তা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর আশপাশে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ইউনিফর্মে টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম সক্রিয় রয়েছে।

অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে সন্দেহজনক ব্যাগ, বস্তা বা কার্টুন বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে বিশেষ গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা রোধে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

ভিভিআইপি ও ভিআইপি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের চলাচল বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শহরের প্রবেশ ও বাহিরপথসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম চলছে।

এছাড়া বস্তি, হোটেল, গেস্ট হাউস, রেস্ট হাউজ, নগরীর উপকণ্ঠের নতুন আবাসিক এলাকা ও অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, যাতে কোনো সন্ত্রাসী বা অপরাধী গোষ্ঠী অবস্থান নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করতে না পারে।

র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াডকে কৌশলগত স্থানে মোতায়েন রাখা হয়েছে। যেকোনো নাশকতা, সহিংসতা বা বোমা হামলা রোধে আগাম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আগত নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইভটিজিং, যৌন হয়রানি বা সম্মানহানির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং আশপাশের এলাকাগুলোতেও সাদা পোশাক ও ইউনিফর্মে র‌্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

র‌্যাব জানায়, ব্যাটালিয়নসমূহ নিজ নিজ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখছে। পাশাপাশি র‌্যাব সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুম ও হটলাইন নম্বর (০১৭৭৭৭২০০২৯) থেকে ঢাকাসহ সারাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হচ্ছে।