মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: দগ্ধ শিক্ষার্থী জারিফের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৩৪

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:০৫ অপরাহ্ন, ২৬ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৯:০৫ পূর্বাহ্ন, ২৬ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় একের পর এক দুঃসংবাদ আসছে। সর্বশেষ আজ শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা ১৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থী জারিফ মারা গেছেন। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ নিয়ে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন অন্তত ৫০ জন, যাদের অনেকেই শিশু শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে' প্যানটোনিক্স টাইগার রান ঢাকা ২০২৫'

গত ২১ জুলাই দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে, উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি উড্ডয়ন করেছিল তেজগাঁওয়ের এ কে খন্দকার ঘাঁটি থেকে, দুপুর ১টা ৬ মিনিটে। উড্ডয়নের পরপরই যান্ত্রিক ত্রুটির মুখে পড়ে বিমানটি।

বিমানটি চালাচ্ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকীর ইসলাম, যিনি জনবসতি এড়িয়ে একটি জনবিরল এলাকায় বিমানটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হননি। শেষ পর্যন্ত সেটি আছড়ে পড়ে স্কুলের দোতলা ভবনে, ক্লাস চলাকালীন সময়েই।

আরও পড়ুন: মৃত্যুর মিছিলে বোনের পর নাম লেখাল ভাইও

দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় মানুষ ও শিক্ষার্থীরা উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নেন। আহতদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বর্তমানে দুর্ঘটনায় দগ্ধ ও আহতদের চিকিৎসায় বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও সিঙ্গাপুরের যৌথ মেডিকেল টিম কাজ করছে। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে তারা এই চিকিৎসা পরিচালনা করছেন।

ঘটনার দিনই একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। কমিটিটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ ও দায়-দায়িত্ব নির্ধারণে তদন্ত চালাচ্ছে।

সরকার বলছে, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জাতীয় নিরাপত্তা ও বিমান চলাচল ব্যবস্থা উন্নত করার ব্যাপারে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করে, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

এ ঘটনায় পুরো জাতি শোকাহত। নিহতদের পরিবার, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমাজের মধ্যে এখনো শোকের ছায়া বিরাজ করছে।