চাঁদাবাজের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ লালবাগের ব্যবসায়ীরা
চাঁদাবাজদের অব্যাহত চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ লালবাগের বাসিন্দারা। তাদের বেপরোয়া হুমকি ধামকি সমসাময়িক কালে সীমা ছেড়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, লালবাগ এলাকার প্রয়াত একজন সংসদ সদস্যের স্ত্রীর নেতৃত্বে একটি চাঁদাবাজ চক্র সক্রিয় রয়েছে। সম্প্রতি এ চক্র আজিমপুর কবরস্থানে চাঁদাবাজি করতে আসলে টহলরত সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়। জানা গেছে ২৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলামকেও চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করে সেনাবাহিনী আজিমপুর কমিউনিটি সেন্টারে একটি দাওয়াত অনুষ্ঠানে তাকে আটক করা হয়। সাধারণ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, দলীয় পরিচয়ে তাদের কাছে প্রতিদিন চিহ্নিত চাঁদাবাজরা উৎপাত করে। এ ভাবে চলতে থাকলে তারা ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোন পথ খোলা নাই বলে আক্ষেপের সুরে বলেন।
আরও পড়ুন: মেডিকেল বোর্ডের অনুমতি পেলেই ঢাকায় আসবে কাতারের রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
রাজধানীর আজিমপু কবরস্থান এলাকায় চাঁদাবাজি চক্রের পাঁচ সদস্যকে হাতেনাতে আটক করেছে সেনাবাহিনী। সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় পরে আটককৃতদের লালবাগ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটককৃতরা হলেন- আরমান মিয়া (৫৪), মো. জাহিদ মিয়া (৩), মো. জামিল হোসেন (৩৪), মো. আরমান ইসলাম (৩৭) এবং রবিন মিয়া (৩৪)।
কবরস্থানে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে পুরোনো কবর সরিয়ে নতুন কবর স্থাপনের অজুহাতে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করে আসছিল। তারা প্রতি কবর থেকে মাসিক ১ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা দিতে বাধ্য করত। চাঁদা না দিলে কবরের অস্তিত্ব নিশ্চিত না রাখার হুমকি দেওয়া হতো।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে নিয়ে জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে
ভুক্তভোগীদের দাবি, চক্রটির নেতৃত্বে রয়েছেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম আমিন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পতিত ক্ষমতাসীন দলের পরিবর্তন হলেও চাঁদাবাজি চক্রটি সক্রিয় রয়েছে। কখনো আওয়ামী লীগ, কখনো বিএনপির কর্মীরা সময় ভেদে এ কাজে যুক্ত। লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈনু মারমা বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তবে তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও চাঁদাবাজি কার্যক্রমের বিস্তারিত এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।





