মেরুদণ্ডহীন ভালো মানুষ দিয়ে মানবাধিকার কমিশন চলবে না: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:২৮ অপরাহ্ন, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৯:২৮ অপরাহ্ন, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নেতৃত্বে মেরুদণ্ডহীন ভালো মানুষ বসানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে নাগরিক প্ল্যাটফরম আয়োজিত খসড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ-২০২৫ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন: জাপা-জেপির নেতৃত্বে ১৬ দলের রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ সোমবার

ড. দেবপ্রিয় বলেন,বিগত সময়ে বাংলাদেশ নখদন্তহীন ও মেরুদণ্ডহীন মানবাধিকার কমিশন পেয়েছে। এবার যেন সেই ভুল আর না হয়। আমাদের প্রয়োজন সৎ, নীতিবান ও সাহসী মানুষ, যারা প্রয়োজনে সরকারের বিরুদ্ধেও কথা বলতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করা হলেও এর অধীনে গঠিত কমিশনগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার কমিশনটি বাতিল করার পর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশে মানবাধিকার কমিশন নেই।

আরও পড়ুন: ধানের শীষ প্রতীক সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভাগ্যোন্নয়নের নিশ্চয়তা দিতে পারে: শাহ রিয়াজুল হান্নান

আলোচনায় অংশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, মানবাধিকার কমিশন অতীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি।

অন্যদিকে বাংলাদেশ রিফর্ম ওয়াচের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রস্তাবিত খসড়া আইনে কমিশনের স্বাধীনতা ও কার্যপরিধি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পুনর্বিবেচনা এবং ভুক্তভোগী ও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।