একসঙ্গে নির্বাচন-গণভোটে সাশ্রয় ৩ হাজার কোটি
জুলাই সনদ বাস্তবায়নসংক্রান্ত গণভোটের সময়সূচি নিয়ে রাজনৈতিক মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। গণভোট জাতীয় নির্বাচনেই অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত—এমন দাবি করছে বিএনপি ও সমমনা জোট। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী চায়, নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট সম্পন্ন হোক। ফলে বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন দু’পক্ষই সমন্বয়ের চ্যালেঞ্জে পড়েছে।
ইসি সূত্র বলছে, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন আলাদা দিনে হলে ভোট আয়োজনের খরচ দুই গুণের মতো বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে প্রায় ৪৩ হাজার ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন পরিচালনায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। তাই একই দিনে দুই ভোট আয়োজন করলে ব্যয়ের বড় একটি অংশ সাশ্রয় সম্ভব।
আরও পড়ুন: মেডিকেল বোর্ডের অনুমতি পেলেই ঢাকায় আসবে কাতারের রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করা গেলে অর্থ ও শ্রম—দুটিই কম লাগবে। কমিশন চাইলে তা করতে সক্ষম।
তবে ইসির ভেতরে শঙ্কা রয়েছে—জাতীয় নির্বাচনের বাইরে আলাদা দিনে গণভোট হলে ভোটার উপস্থিতি অত্যন্ত কম হতে পারে। এতে গণভোটের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়বে। অতীতের তিনটি গণভোটেই ভোট উপস্থিতি ছিল খুব কম, এবং ফলাফল নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের ইতিহাস রয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে নিয়ে জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে
এদিকে বড় রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাই, সংগঠন ও প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকায় গণভোটে তারা পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারছে না। ফলে নির্বাচনের আগে গণভোট হলে নির্বাচন প্রস্তুতি ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে।
জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, গণভোট আয়োজনের জন্য জাতীয় নির্বাচনের মতোই পূর্ণ প্রস্তুতি দরকার। সময় নির্ধারণের সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টা ও নির্বাচন কমিশনের ওপরই ন্যস্ত।
সরকার সূত্র জানিয়েছে, ভোটার উপস্থিতি, রাজনৈতিক স্বস্তি ও বাজেট—এই তিনটি বিষয় বিবেচনায় নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।





