জামায়াতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী নয় বিএনপি: হামিদুর রহমান

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:১৮ অপরাহ্ন, ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৭:১৮ অপরাহ্ন, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে বিএনপি।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক সংলাপে অংশ নিয়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, গণভোট নিয়ে আলোচনায় বসতে তারা প্রস্তুত, কিন্তু বিএনপি এতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

আরও পড়ুন: ধানের শীষ প্রতীক সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভাগ্যোন্নয়নের নিশ্চয়তা দিতে পারে: শাহ রিয়াজুল হান্নান

আজাদ বলেন, আমরা বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। তারা জানিয়েছে, আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না। আমরা যেকোনো সময় আলোচনা করতে রাজি আছি। প্রয়োজনে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও আলোচনায় বসতে উদ্বুদ্ধ করবো।

তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে, কিন্তু কীভাবে তা বাস্তবায়িত হবে সেটি এখনো নির্ধারিত হয়নি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যখন সরকারের কাছে সুপারিশ দেয়, তখনই সেখানে বিরোধ তৈরি হয়।

আরও পড়ুন: ইসহাকপুত্রের আবেগঘন স্ট্যাটাসে উত্তাল ঢাকা-৭

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সংলাপ ও জনমত প্রকাশ—দুটোকেই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে জামায়াত নেতা বলেন, ডেমোক্রেসিতে আলোচনা এবং রাজপথে ভয়েস রেইস করা—এই দুটোই চলে। আমরা তো কোনো ভায়োলেন্স করছি না।

জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের প্রস্তাবের বিরোধিতা জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে মানুষের ফোকাস থাকে দল ও প্রার্থীকে ঘিরে। আমাদের দেশে ভোটকেন্দ্র দখলের প্রবণতা আছে। একই দিনে দুটি ভোট দিতে গেলে সময় ব্যবস্থাপনা হবে না, ভোট কাস্টিং কমে যাবে। পরে আবার বলা হবে, জনগণ জুলাই চার্টারের পক্ষে রায় দেয়নি।

আজাদ আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী আমলের প্রশাসন এখনো রয়ে গেছে। জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার হয়নি। তাই আগে গণভোট হলে জনগণের আস্থা তৈরি হবে, এরপর জাতীয় নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য হবে।