খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত, লন্ডন নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত
বিগত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত ২৭ নভেম্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এর পর থেকে অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়ায় এখনো সিসিইউতেই তার চিকিৎসা চলছে।
দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা হচ্ছে। পাশাপাশি বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান প্রতিদিন হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার দেখভাল করছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তফসিল বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য নতুন অধ্যায়: মির্জা ফখরুল
বিএনপির চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে। নিয়মিত তার কিডনি ডায়ালাইসিস চলছে। এছাড়া ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, লিভারসহ অন্যান্য জটিলতাও একই অবস্থায় রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে।
আরও পড়ুন: বেগম রোকেয়াকে ‘মুরতাদ কাফির’ আখ্যা, নিন্দা বিএনপির
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, বলার মতো তেমন কোনো উন্নতি নেই ম্যাডামের অবস্থায়। আগের মতোই চিকিৎসা চলছে। দোয়া করুন, আল্লাহ যেন উনাকে সুস্থ করে দেন।
চিকিৎসকদের মতে, সার্বিক শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে এখনই লন্ডনে নেওয়া সম্ভব নয়। তার শারীরিক অবস্থা বিমান ভ্রমণের উপযোগী নয়। তিন দফায় লন্ডন নেওয়ার সময় পিছিয়ে যাওয়ার পর এখন আপাতত বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে।
এ বি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, ম্যাডামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়ার সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। দেশে চিকিৎসা চলবে। নতুন সিদ্ধান্ত হলে জানানো হবে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অবস্থার উন্নতি হলে ভবিষ্যতে লন্ডন নেওয়ার বিষয়টি আবারও বিবেচনা করা হবে।





