রাঙামাটিতে চলছে ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ৭:২০ পূর্বাহ্ন, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে ৭২ ঘণ্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ডাকে এ অবরোধের কারণে রাঙামাটি-নানিয়ারচর-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ইউপিডিএফের সহযোগী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম বৃহত্তর পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি তনুময় চাকমা জানান, ঢাকায় বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার আয়োজিত সমাবেশ থেকে ঘোষিত তিন পার্বত্য জেলায় (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) ৭২ ঘণ্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়ে এ সড়ক অবরোধ পালিত হচ্ছে। আজ শনিবার ভোর থেকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে অবরোধ চলছে। 

আরও পড়ুন: ৪০ কেজি গাঁজাসহ বরখাস্ত পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

এদিকে জেলা প্রশাসনের শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জেলা শহরে ১৪৪ ধারা জারির পর পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শহরে মোতায়েন করা রয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। তবে রাস্তাঘাটে লোকজন বের হচ্ছেন না। এখনো মানুষের মাঝে আতঙ্ক কাটেনি।

এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে শনিবার সকাল সোয়া ১১টায় জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ ও পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা মতবিনিময় সভায় যোগদান করবেন। দুপুর ২টার দিকে তারা হেলিকপ্টারযোগে খাগড়াছড়ি যাওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে যৌথ টহল, নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী একসাথে মাঠে

উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাঙামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় অনিক কুমার চাকমা নামে কর্ণফুলী সরকারি ডিগ্রী কলেজের এক শিক্ষার্থী নিহত ও শতাধিক লোকজন আহত হন। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়ে রাখা বেশ কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করলে কার্যালয়ের নিচের অংশ পুড়ে যায়, একটি বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর, বিভিন্ন স্থাপনা, দোকানপাট অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চালায় ও বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙামাটি শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে।