১২৩ ফুট উঁচু বঙ্গবন্ধু টাওয়ারে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

ঝিনাইদহে নির্মিত ১২৩ ফুট উঁচু বঙ্গবন্ধু টাওয়ারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর কালীগঞ্জ উপজেলার শমসের নগর এলাকায় উত্তাল ছাত্র জনতার রোষানলে পড়ে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারটি। শত শত মানুষের ক্ষোভে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টাওয়ারটি শুধু উচ্চতার জন্যই নয়, বরং এটির বিশেষ স্থাপত্য ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতীকী ছিল। ছয়তলা বিশিষ্ট এ টাওয়ারের বিভিন্ন ফ্লোরে বঙ্গবন্ধু পরিবারের ২০টি ভাস্কর্য ছিল। যার মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে স্থাপিত ছিল বঙ্গবন্ধুর বৃহৎ ভাস্কর্য।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নেত্রকোণায় যুবদলের মিলাদ মাহফিল
সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি বলেন, ঘটনার সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার কণ্ঠে শেখ হাসিনাবিরোধী নানা স্লোগান শোনা যায়।
এছাড়া, বুধবার (৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঝিনাইদহ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে স্থাপিত শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে জাফলং থেকে লুট হওয়া ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার
ঝিনাইদহ পায়রা চত্বরে ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে মিছিল নিয়ে প্রথমে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে স্থাপিত ম্যুরালে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারপর মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সেখানে আগে থেকেই ভাঙচুর করা ম্যুরালটিতেও আন্দোলনকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, কালিগঞ্জ বারোবাজার এলাকার শমশের নগরের ১২৩ ফুট উঁচু টাওয়ারটি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। তবে কাদের নেতৃত্ব ভাঙচুর করা হয়েছে এখনো জানতে পারেনি। ঘটনার পর থেকে এলাকা শান্ত রয়েছে। ওই ঘটনা ছাড়া আর কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেনি।