কোটালীপাড়ায় গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ বিএনপির, ওসি বলছেন ‘এটি গণগ্রেপ্তার নয়’
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ এনেছে স্থানীয় বিএনপি নেতারা। রোববার (২১ জুলাই) উপজেলার ঘাঘর বাজারের বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম মহিউদ্দিন বলেন, "গত বুধবার আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কোটালীপাড়া-পয়সারহাট সড়কে গাছ কেটে পথ অবরোধ করে ওয়াবদার হাট এলাকায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। এরপর থানার পক্ষ থেকে ১৫৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরও প্রায় ১,৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এখন সাধারণ মানুষদের হয়রানি করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।"
আরও পড়ুন: অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলো বিজিবি
বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার বলেন, “মামলার অধিকাংশ আসামি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। সাধারণ মানুষের নাম মামলায় ঢুকিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এটা প্রশ্নবিদ্ধ।”
কোটালীপাড়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওলিউর রহমান হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, “বিক্ষোভের সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল, কিন্তু কাউকে আটক করেনি। তাদের কাছে ফুটেজ থাকলেও তা যাচাই না করে এখন নিরীহ মানুষদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: জামালপুরের আলোচিত মনিরুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার
এ বিষয়ে কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমরা কোনো গণগ্রেপ্তার করছি না। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ ভিত্তিহীন।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি ইউছুপ আলী দাড়িয়া, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শেখ ফায়েকুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ছলেমান শেখ, যুবদলের সদস্যসচিব মান্নান শেখ ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক লালন শেখ প্রমুখ।





