মুন্সিগঞ্জের মেঘনায় গোলাগুলি: ‘শুটার মান্নান’ নিহত, আহত ৬

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:২৬ পূর্বাহ্ন, ৩০ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় নদীতে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে ‘প্রতিপক্ষের’ গুলিতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘শুটার মান্নান’ নিহত হয়েছেন। লালু-জুয়েল গ্রুপের লোকজন তাঁকে হত্যা করেছে বলে দাবি নিহত মান্নানের স্বজনদের। এ সময় আহত হয়েছেন ছয়জন।

সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের বড় কালীপুরা গ্রামসংলগ্ন মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: ৪০ কেজি গাঁজাসহ বরখাস্ত পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

নিহত মান্নান (৪৫) গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের জৈষ্ঠিতলা নূর মোহাম্মদের ছেলে। আহত ব্যক্তিরা হলেন হৃদয় বাঘ (২৮), আতিকুর (৩০), হাসিব (৩৪), শ্যামল (৩০), নয়ন (২৫) ও হামীম (৩২)।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মেঘনা নদীর বড় কালীপুরা এলাকায় একটি স্পিডবোট দেখতে পান তাঁরা। স্পিডবোটে সাতজন যুবক সশস্ত্র অবস্থায় নদীতে পাহারা দিচ্ছিল। এই ঘটনার কিছু সময় পরে শুটার মান্নান, হৃদয় বাঘসহ সাতজন একটা ট্রলার নিয়ে নদীতে নামলে অন্য একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে থাকা ১৫-১৬ জন পেছন থেকে তাঁদের ধাওয়া দেন। তাঁদের সবার হাতে অস্ত্র, মাথায় হেলমেট, গায়ে জ্যাকেট ছিল। এই ঘটনার কিছু সময় পরে ২০-২৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণের শব্দ শুনতে পান তাঁরা। এরও কিছুক্ষণ পর গুলিবিদ্ধ মান্নানের মরদেহ ট্রলারের ওপর পড়ে থাকে। আহত ব্যক্তিরা ট্রলার থেকে লাফিয়ে পানিতে পড়ে যান। এ সময় হামলাকারীরা ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চাঁদপুরের দিকে চলে যান।

আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে যৌথ টহল, নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী একসাথে মাঠে

বিষয়টি সম্পর্কে নিহত মান্নানের স্ত্রী সুমি বেগম বলেন, ‘কয়েক দিন আগে মান্নান আমাকে বলেছিল, হোগলাকান্দি গ্রামের লালু, জুয়েল তাঁকে মেরে ফেলতে চায়। তারা তাকে হত্যা করতে পেশাদার অস্ত্রবাজ ভাড়া করেছে। আজ সকালে আমরা খবর পেলাম, মান্নানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমি শিওর লালু, জুয়েল আর তাদের ভাড়াটে খুনিরা তাকে হত্যা করেছে।’

এদিকে ঘটনাস্থলে এসে গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির বুকে দুটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, চায়নিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা একটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছি। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে আসছে।’

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, মান্নান গজারিয়া উপজেলার একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী। অস্ত্র চালনায় বিশেষ পারদর্শী হওয়ার কারণে তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে শুটার মান্নান নামে পরিচিত। তাঁর নামে গজারিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।