ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট
কুমিল্লার পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড এলাকায় কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনার পর চার ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো যানবাহনটি সরাতে পারেনি হাইওয়ে পুলিশ। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড এলাকায় চলন্ত একটি প্রাইভেট কারের ওপর উল্টে পড়ে কাভার্ডভ্যানটি। এতে একই পরিবারের চারজন নিহত হন। দুর্ঘটনার পর হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে উদ্ধার কাজ শুরু করে। তবে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে কাভার্ডভ্যানটি অপসারণ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলো বিজিবি
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় পার হলেও মহাসড়কের উভয় লেনে যানবাহনের লাইন ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। এতে চট্টগ্রাম এবং ঢাকামুখী যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে পড়েন।
ঘটনাস্থলে থাকা ময়নামতি হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান জানান, “আমাদের নিজস্ব যে ক্রেন রয়েছে, তার ধারণক্ষমতা কম। দুর্ঘটনাকবলিত কাভার্ডভ্যানটি বেশ ভারী হওয়ায় উদ্ধার কাজ চালাতে ভাড়ায় অধিক সক্ষম ক্রেন আনতে হয়েছে। তাই সময় লাগছে। কাভার্ডভ্যানটি সরাতে পারলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”
আরও পড়ুন: জামালপুরের আলোচিত মনিরুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার
ঘটনাস্থলে সাতজন পুলিশ সদস্য কাজ করছেন বলে জানা গেছে। তবে পরিদর্শক বা তার ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তাকে সেখানে দেখা যায়নি।
ফেনী থেকে ঢাকাগামী যাত্রী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, তিনি জরুরি প্রয়োজনে এয়ারপোর্টে যাচ্ছিলেন। যানজটে আটকে পড়ায় তিনি হাইওয়ে পুলিশের কাছে মিনতি করেছেন গাড়িটি দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার জন্য।
উল্লেখ্য, এই দুর্ঘটনার ফলে আবারও মহাসড়কে জরুরি উদ্ধার ব্যবস্থাপনার সীমাবদ্ধতা ও সমন্বয়ের অভাব উঠে এসেছে বলে মত দিয়েছেন অনেকে।





