তেলিয়াপাড়ায় ৫৫ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় গাঁজা ও মদ জব্দ

Sanchoy Biswas
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:৪৮ অপরাহ্ন, ০৩ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১:১৯ অপরাহ্ন, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেশের সীমান্ত রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধ এবং মাদকদ্রব্য পাচার রোধে নিয়মিতভাবে কঠোর অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) এর আওতাধীন সীমান্ত বিওপি সমূহ হতে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় গাঁজা, ইস্কফ সিরাপ, বাংলা মদসহ বাই-সাইকেল আটক করা হয়। যার আনুমানিক সিজার মূল্য ৩৯ হাজার ২০০ টাকা।

হবিগঞ্জ ৫৫ বিজিবি’র আওতাধীন মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া বিওপির চৌকস সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তেলিয়াপাড়া সীমান্ত এলাকায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৩৮ বোতল ভারতীয় ইস্কফ সিরাপ ০১টি বাই-সাইকেল জব্দ করে। এছাড়াও চুনারুঘাট উপজেলাধীন সাতছড়ি বিওপির বিশেষ টহল দল অভিযান পরিচালনা করে ০৪ কেজি ভারতীয় গাঁজা জব্দ করে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩৬ হাজার ২০০ টাকা। এসকল অভিযানে চোরাকারবারিরা বিজিবির টহলদলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে গ্রেফতারের ভয়ে মালামাল ফেলে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলো বিজিবি

অপরদিকে, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলাধীন সিন্দুরখান বিওপির টহলদল সিন্দুরখান বাজার নামক এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মালিকবিহীন পরিত্যক্ত অবস্থায় ১০ লিটার বাংলা মদ উদ্ধার করে। যার আনুমানিক সিজার মূল্য তিন হাজার টাকা। 

মাদক উদ্ধারের বিষয়ে হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.তানজিলুর রহমান বলেন, বিজিবি নিরলসভাবে দেশের সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে, আর আমাদের মাদকবিরোধী অভিযানগুলো এই দায়িত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চোরাচালান ও মাদক নির্মূলে আমাদের কঠোর পদক্ষেপগুলো শুধু অপরাধীদেরই রুখে দিচ্ছে না, বরং জনগণের মাঝেও স্বস্তি ফিরিয়ে আনছে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি অভিযানই দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুরক্ষায় এক অনন্য ভূমিকা পালন করে।

আরও পড়ুন: জামালপুরের আলোচিত মনিরুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার

জব্দকৃত মাদকদ্রব্য আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে হস্তান্তরের কার্যক্রম চলমান। একইসঙ্গে চোরাচালানি চক্রকে শনাক্ত করতে বিজিবির গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। মাদক ও চোরাচালান বিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সীমান্তবর্তী জনগণকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি।