কমলনগরে ইয়াবা ও দেহ ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় বাড়ি-ঘর ভাঙচুর

Sanchoy Biswas
হাবিবুর রহমান, কমলনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৭:১২ অপরাহ্ন, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১০:০৫ অপরাহ্ন, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর ফলকন ৬নং ওয়াড তালপট্টি এলাকায়, ইয়াবা ও দেহ ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে চর ফলকন ৬নং ওয়াড তালপট্টি এলাকায়। ইয়াবা ও দেহ ব্যবসায়ীর হামলায় মৃত ফয়জল হকের ছেলে শাহ আলম (৪৭) ও তার স্ত্রীর ঘর ভাঙচুর করা হয় এবং প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

আরও পড়ুন: অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলো বিজিবি

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, কমলনগরের চর ফলকন তালপট্টি এলাকার মোমাঝিগো বাগির নুরুল নবী (৪৫) মেয়ের এই বাড়িতে বসবাস করে। এই নির্জন জায়গায় বাড়ি হওয়ায় মেয়ের জামাইসহ দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ও দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আশেপাশের লোকজন ভয়ে কিছু বলতে পারছে না। কেউ প্রতিবাদ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

শারমিন আক্তার ও আমেনা বেগম জানান, “আমরা জেসমিন আক্তার ও নুর নাহার খায়োরীর কারণে এই বাড়িতে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। নিশি রাত ও ভোরে বিভিন্ন অপরিচিত মানুষ আসা-যাওয়া করে। আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারি না, সারা রাত আমাদের আতঙ্কে কাটে, আমাদের সন্তানরা সব সময় ভয়ে থাকে। জেসমিন আক্তার ও তার স্বামী কামালসহ ছোট মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যবসা ও ইয়াবা-গাঁজা বিক্রি করে, এটা এলাকার সবাই জানে।”

আরও পড়ুন: জামালপুরের আলোচিত মনিরুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার

শাহ আলম কাজের সুবাদে চন্দ্রগঞ্জে ফ্যামিলি সহ বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। সেই সুযোগে গত তিন মাস আগে ইয়াবা ও দেহ ব্যবসায়ী জেসমিন আক্তার ও তার স্বামী কামাল ঘর ভাড়া নেওয়ার প্রস্তাব দেন। শাহ আলম রাজি না হওয়ায় তাদের পক্ষ থেকে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

গতকাল সোমবার দুপুরে তারা টিন কেটে ঘরে প্রবেশ করে। ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ও সোলার ব্যাটারিসহ প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালপত্র নিয়ে যায়। পরে পাশের বাড়ির লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে এবং তারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

ইউপি সদস্য মোঃ রাহান জানান, “জেসমিন ও তার বড় বোন নুর নাহার খাবোরী নির্জন জায়গায় বাড়ি থাকার কারণে অবাধে ইয়াবা ও দেহ ব্যবসা করে যাচ্ছে, ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না।”

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা থানায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”