টরকী-বাশাইল খাল খননের দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান
পরিবেশবাদী সংগঠন ক্লাইমেট নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে বরিশাল জেলার গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহমান মৃতপ্রায় টরকী-বাশাইল খালের খনন ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিখন বণিক ও গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইব্রাহিমের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সংগঠনটির ডিজিটাল মিডিয়া ডিরেক্টর সৈয়দ মাজারুল ইসলাম রুবেল ও সরকারি গৌরনদী কলেজ অ্যাম্বাসেডর আহাদ তালুকদার এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে এনসিপি ও ছাত্রদলের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণে আহত ৮
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন গৌরনদী সার্কেলের নবাগত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আনসার হোসেন সালেক।
পরিবেশকর্মী সৈয়দ মাজারুল ইসলাম রুবেল বলেন, খাল খনন না হওয়া ছাড়াও বাঁধ, অপরিকল্পিত ব্রিজ, দখল ও আবর্জনা ফেলার কারণে খালটির নাব্যতা বিলীন হয়ে গেছে। একসময় এ খাল ছিল প্রধান নৌপথ। শীত মৌসুমে খালটি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। ফলে ২০ হাজার হেক্টর জমির বড় আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। সেচ ব্যয় বেড়ে যাওয়া কৃষকরা ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে খালটি খনন এখন সময়ের দাবি। এ লক্ষ্যে আজ আমরা প্রাথমিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করলাম। খালটি দখলমুক্ত, খনন ও নাব্যতা ফিরে না আসা পর্যন্ত আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ
উল্লেখ্য, টরকী-বাশাইল খালটি দীর্ঘদিন খনন না হওয়া, দখল-দূষণ ও নাব্যতা সংকটে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী খাল আজ মৃতপ্রায়। একসময় খরস্রোতা এ খাল এখন ধীরে ধীরে হারাচ্ছে তার অস্তিত্ব। এর প্রভাব পড়ছে কৃষিজমি, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও স্থানীয় জনজীবনে। বহুবছর ধরে ভুক্তভোগীরা জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ধরনা দিলেও খাল খননের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।





