এসএসসি ও সমমানের ফল পুনর্নিরীক্ষণে নতুন করে জিপিএ-৫ পেল ১,১৪৬ শিক্ষার্থী

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, ১১ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, ১১ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণে তিন শিক্ষা বোর্ডের ২০ জন ফেল করা শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। এর মধ্যে ১৬ জন মাদ্রাসা বোর্ডের, তিন জন ঢাকা বোর্ডের এবং একজন ময়মনসিংহ বোর্ডের। দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট ১৩ হাজার ৯৭৯ জন পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। পুনর্নিরীক্ষণে ফেল থেকে পাশ করেছে ৪ হাজার ৭৯২ জন, আর নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ১৪৬ জন। এতে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে অবহেলা ও ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।


আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের আইবিএ এমবিএ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন

শিক্ষাবিদদের মতে, বর্তমানে পুনর্নিরীক্ষণে শুধু নম্বর যোগ, উত্তরের পাশে নম্বর বসানো এবং ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট ঠিক আছে কি না, তা দেখা হয়; পুরো উত্তরপত্র নতুন করে মূল্যায়ন করা হয় না। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৩ জন ফেল থেকে পাশ করেছে এবং ২৮৬ জন নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ১ হাজার ৯১২ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে, যার মধ্যে ৯৯১ জন ফেল থেকে পাশ করেছে এবং ১৩৯ জন নতুন করে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। সবচেয়ে বেশি ফেল থেকে পাশ করেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে—২ হাজার ৬৫৪ জন।

আরও পড়ুন: জ্যোতির্বিদদের অনুসন্ধানে উন্মোচিত মহাবিশ্বের রহস্য


এছাড়া ১২ জন নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা সংস্থা বেডুর তথ্য অনুযায়ী, ভুল উত্তরে নম্বর দেওয়া, সঠিক উত্তরে কম নম্বর দেওয়া, এবং প্রধান পরীক্ষকদের খাতা ঠিকমতো না দেখা—এসব কারণে প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়। এছাড়া অযোগ্য পরীক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে তৈরি করা ডিজিটাল ডেটাবেজেও নীতিমালা উপেক্ষা করা হচ্ছে।