ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলল ছাত্র ইউনিয়ন

Any Akter
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২:০৯ অপরাহ্ন, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১:৪৩ অপরাহ্ন, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ এ ব্যাপক অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি মেঘ মল্লার বসু বলেন, শিক্ষার্থীদের বহু আকাঙ্ক্ষিত এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব এবং কারচুপির কারণে শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের উৎসবটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। নির্বাচনী দিনে টিএসসি সহ একাধিক কেন্দ্রে ব্যালট জালিয়াতি, ভুয়া প্রেস-পাস ব্যবহার করে অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিদের প্রবেশ, ভোটার তালিকায় ভুয়া স্বাক্ষর এবং নির্বাচনী ফলাফল প্রভাবিত করার মতো ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের আইবিএ এমবিএ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন

মেঘ মল্লার বসু আরো বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে কোনো ক্রমিক নম্বর ছিল না, ব্যবহৃত ও বাতিল ব্যালটের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি, এমনকি ব্যালট কোথায় ছাপানো হয়েছে সে তথ্যও গোপন রাখা হয়েছে। অভিযোগে আরও বলা হয়, নির্বাচনের আগে নীলক্ষেতের একটি ছাপাখানায় বিপুলসংখ্যক ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া যায়, যা নির্বাচনের সততা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।

ছাত্র ইউনিয়ন আরও অভিযোগ করে, ওএমআর মেশিনে ভোট কারচুপির ঘটনা ধরা পড়লেও প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের এজেন্ট তালিকা রাতারাতি পরিবর্তন, ভোটারদের আঙুলে অমোচনীয় কালি ব্যবহার না করা, অস্বচ্ছ ব্যালট বক্স ব্যবহার এবং গণনার সময় পোলিং এজেন্টদের দূরে রাখা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

আরও পড়ুন: জ্যোতির্বিদদের অনুসন্ধানে উন্মোচিত মহাবিশ্বের রহস্য

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নির্বাচনকালীন এসব অনিয়ম সম্পর্কে বারবার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং প্রশাসন কালক্ষেপণ করেছে।

ছাত্র ইউনিয়নের দাবি, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, ১৯৭৩ এবং নির্বাচন বিধিমালা, ২০২৫ অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কারণে এ নির্বাচন ইতিহাসে অগণতান্ত্রিক, অনিয়মে পূর্ণ ও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হিসেবে চিহ্নিত হবে।”

সংগঠনটি আশা প্রকাশ করে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে ফিরে এসে তদন্ত করে শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকৃত সত্য উন্মোচন করবে।