শিক্ষকদের ‘ভুখা মিছিল’-এ পুলিশের বাধা
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা আজ তাদের ‘ভুখা মিছিল’-এ অংশ নেয়ার সময় পুলিশের বাধার মুখোমুখি হয়েছেন। রোববার বিকেল পৌনে ৪টায় শহীদ মিনার থেকে বের হওয়া মিছিলটি মাজার রোডের সামনে আটকে দেওয়া হয়।
বর্তমানে মাজার রোডে শিক্ষকরা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন। সেখানে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের আইবিএ এমবিএ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন
শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে থালা-বাটি হাতে শুরু হওয়া মিছিলটি বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে চলেছে। শিক্ষকরা দেন ‘যৌক্তিক আন্দোলন, মেনে নাও নিতে হবে’, ‘২০% বাড়িভাড়া দিতে হবে’, ‘ভাতা মোদের দাবি নয়, অধিকার অধিকার’, ‘আবু সাইদের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ প্রভৃতি প্রতীকী ও প্রতিবাদসূচক স্লোগান।
শিক্ষক এনামুল হক স্বপন বলেন, “আমরা এ দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলছি, জাতির মেরুদণ্ড শক্ত করছি। কিন্তু আজও আমরা নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা ও স্বীকৃতির নিশ্চয়তা পাই না। বছরের পর বছর ধরে নানা প্রতিশ্রুতি শুনেছি, কিন্তু বাস্তবে কোনো ফল মেলেনি। এবার প্রস্তুতি নিয়েই রাজপথে নেমেছি, দাবি আদায় ছাড়া ফিরে যাব না।”
আরও পড়ুন: জ্যোতির্বিদদের অনুসন্ধানে উন্মোচিত মহাবিশ্বের রহস্য
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ছি, কিন্তু আমাদের স্বীকৃতি ও নিরাপত্তা এখনো নিশ্চিত নয়। খালি থালা হাতে নামা আমাদের বঞ্চনা ও অসম্মানের ভাষা।”
এর আগে গত রোববার (১২ অক্টোবর) প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থানকালে পুলিশ ও শিক্ষকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু হয়।
শিক্ষকরা দাবি করছেন, সরকার ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ না করলে আন্দোলন প্রত্যাহার হবে না।





