হাসিনার রায়ে ছাত্রশিবিরের প্রতিক্রিয়া

Sanchoy Biswas
শাহরিয়ার ইসলাম
প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ন, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৩৩ অপরাহ্ন, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চব্বিশের জুলাই–আগস্টের আন্দোলনকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঘোষিত রায়ের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটির দাবি, এ রায়ের মাধ্যমে ভুক্তভোগী পরিবারের দীর্ঘদিনের ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা পূরণে একটি “গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি” ঘটেছে।

১৭ নভেম্বর মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এই প্রতিক্রিয়া জানান।

আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের আইবিএ এমবিএ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন

বিবৃতিতে তারা বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত ঘটনাগুলোর জন্য দোষীদের বিচারের আওতায় আনা ছিল সময়ের দাবি। তাদের অভিযোগ, ওই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি কিছু রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মীও সহিংসতায় জড়িত ছিল। শিবির নেতারা মনে করেন, ট্রাইব্যুনালের সাম্প্রতিক রায় এই সহিংসতার দায় নিরূপণে একটি “মাইলফলক”।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ঘটনাগুলোর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ঘোষিত রায় কার্যকর করা জরুরি। পাশাপাশি অতীতের অন্যান্য আলোচিত ঘটনা—যেমন ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড, বিভিন্ন সময়ের গুম–খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ—এগুলোরও বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।

আরও পড়ুন: জ্যোতির্বিদদের অনুসন্ধানে উন্মোচিত মহাবিশ্বের রহস্য

পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপরও জোর দেয় সংগঠনটি। বিবৃতিতে তারা ইন্টারপোলসহ আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করার আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে ভারত সরকারের প্রতি দণ্ডিত পলাতক আসামিদের প্রত্যর্পণের প্রশ্নে “বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার” অনুরোধ জানায় ছাত্রশিবির। সংগঠনের ভাষ্য, প্রত্যর্পণ না হলে দুই দেশের সম্পর্ক “ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে”।