ঢালিউডের অমর নায়ক সালমান শাহ: মৃত্যুর রহস্য তিন দশক পরও অমীমাংসিত
নব্বইয়ের দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের এক ধূমকেতুর নাম সালমান শাহ। ক্ষণজন্মা এই অভিনেতা মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে দর্শকদের মন জয় করে ঢালিউডে ফেরান সুদিন। ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেকের পর একে একে ২৭টি সিনেমা উপহার দেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে ‘প্রেমযুদ্ধ’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘জীবন সংসার’।
তবে মাত্র ২৫ বছর বয়সে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই না ফেরার দেশে চলে যান এই সুপারস্টার। তার মৃত্যু নিয়ে শুরু হয় রহস্য ও বিতর্ক, যা এখনো অব্যাহত।
আরও পড়ুন: ফের থানায় অভিযোগ শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে
সেদিন সকালে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডের ফ্ল্যাটে অচেতন অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক জানান, সালমান শাহ আর বেঁচে নেই। খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোবিজ অঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া, হাসপাতাল ও বাসার সামনে ভক্তদের ভিড় জমে যায়।
প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা হলেও পরিবার দাবি করে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এরপর একে একে তদন্তে নামে ডিবি, সিআইডি, র্যাব এবং সর্বশেষ পিবিআই। ২০২০ সালে পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে জানায়, দাম্পত্য কলহ, পেশাগত জটিলতা ও মানসিক চাপে আত্মহত্যা করেছিলেন সালমান শাহ। তবে এই ব্যাখ্যা মেনে নিতে পারেননি তার পরিবার ও ভক্তরা।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আজ দুই মঞ্চে চার ব্যান্ডের সঙ্গীত উৎসব
প্রায় তিন দশক পার হলেও সালমান শাহর মৃত্যুর রহস্য আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে। ভক্তদের হৃদয়ে তিনি আজও বেঁচে আছেন ঢালিউডের হার্টথ্রব নায়ক হয়ে।





