সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, সাগারিকার এক হালিতে বিধ্বস্ত নেপাল

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে দারুণ দাপট দেখিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী দল। ফাইনালে শক্তিশালী নেপালকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে স্বপ্না-সাগরিকার দল। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে একাই চারটি গোল করে ম্যাচ ও টুর্নামেন্টে সেরা হয়ে উঠেছেন সাগরিকা। পুরো টুর্নামেন্টে তার মোট গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট।
সোমবার (২১ জুলাই) বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটেই চারটি সুযোগ তৈরি করে তারা। অষ্টম মিনিটে প্রথম গোলটি করেন সাগরিকা। মাঝমাঠ থেকে গোছানো আক্রমণে পূজা দাসের বাড়ানো বল নেপালের বক্সে পাঠান স্বপ্না। সেখান থেকে বল ধরে ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে দারুণ শটে বল জালে পাঠান সাগরিকা।
আরও পড়ুন: পূর্ব তিমুরকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
১২ মিনিট পর নেপাল সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ পেলেও ব্যর্থ হয়। বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিলি আক্তারের হাত ফসকে বের হওয়া বলে শট নেন পূর্ণিমা রাই। কিন্তু বল লাগে পোস্টে। ফিরে আসা বলে নেওয়া হেডও ঠেকিয়ে দেন মিলি।
প্রথমার্ধের শেষভাগে বাংলাদেশ কিছুটা রক্ষণাত্মক খেললেও ৪৪ মিনিটে আরও একবার সুযোগ তৈরি করেন সাগরিকা, যদিও তা থেকে গোল হয়নি। বিরতিতে বাংলাদেশ যায় ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে।
আরও পড়ুন: ফুটবলের বিস্ময়কর বালক সোহানের পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে লাল-সবুজ দল। বাকি তিনটি গোলও করেন সাগরিকা, ফলে তার এক হ্যাটট্রিকেই বিধ্বস্ত হয় নেপাল। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত বল দখল, পাসের নিখুঁততা এবং গোলের সুযোগ কাজে লাগানোর দিক থেকে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল বাংলাদেশের।
এবারের আসরে ভারত অংশ না নেওয়ায় শিরোপা ধরে রাখাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জে দারুণভাবে সফল হয়েছে বাংলাদেশ নারী দল।
ম্যাচ শুরুর আগে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন খেলোয়াড়রা। দুই দলের ফুটবলার ও কোচিং স্টাফরা এক মিনিট নীরবতা পালন করে নিহতদের স্মরণ করেন।