সুদানে তিন দিনে দেড় হাজার বেসামরিক নিহত
সুদানের দারফুর অঞ্চলের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এল-ফাশেরে নতুন করে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)। শহরটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর গত তিন দিনে সেখানে কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসক ও মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংগঠনগুলি।
সুদানে গত দুই বছর ধরে সরকারি সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এতে দেশটি বিশ্বের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের একটিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'ফিফা শান্তি পুরস্কার’ পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
সুদান ডক্টরস ফোরাম জানায়, সেনাবাহিনীর দখল হারানোর পর বেসামরিক মানুষ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে হামলা চালায় আরএসএফের যোদ্ধারা। সংগঠনটির দাবি, এটি ছিল পরিকল্পিত গণহত্যা।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গত দেড় বছর ধরে এল-ফাশেরে ধারাবাহিক বোমাবর্ষণ, অবরোধ ও খাদ্য সংকট সৃষ্টি এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ফলে কমপক্ষে ১৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। আর নতুন করে তিন দিনে দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু এই ধ্বংসযজ্ঞের নতুন অধ্যায়।
আরও পড়ুন: ডনবাস ইস্যুতে কোনো ছাড় নয়, কঠোর অবস্থানে পুতিন
স্যাটেলাইটচিত্রেও দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন স্থানে ডজন ডজন মরদেহ পড়ে রয়েছে—যা স্থানীয় বাসিন্দারা বেসামরিক হিসেবে চিহ্নিত করছেন।
২০২৩ সাল থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন—যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় চলমান মানবিক সংকটগুলোর একটি।
এল-ফাশের ছিল দারফুরের পাঁচটি প্রধান শহরের মধ্যে শেষ শহর, যা এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। ১৭ মাসের অবরোধে রেখে রোববার শহরটি সম্পূর্ণ দখল করে আরএসএফ।
সুদানের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত এল-ফাশেরে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।





