নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের 'গোপন বৈঠকে' অংশ: মেজর সাদিকুলের স্ত্রীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৪৬ অপরাহ্ন, ১২ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১২:৫২ অপরাহ্ন, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর বসুন্ধরার একটি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ‘গোপন বৈঠকে’ অংশ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সুমাইয়া জাফরিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় ছয় আন্দোলনকারীকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ২১ আগস্ট

আসামিপক্ষকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে পুলিশ জানায়, ৮ জুলাই বসুন্ধরার কে বি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত একটি ‘গোপন বৈঠকে’ সুমাইয়া জাফরিন উপস্থিত ছিলেন। সেখানে প্রায় ৩০০–৪০০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী অংশ নেন। বৈঠক চলাকালে সিসিটিভির ডিভিআর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানো হয়।

পুলিশের অভিযোগ, সুমাইয়া তার স্বামী মেজর সাদিকুল হককে সঙ্গে নিয়ে মিরপুর ডিওএইচএস, কাঁটাবন ও পূর্বাচলের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ ঘোষিত নেতাদের সঙ্গে গোপন সভায় অংশ নিয়েছেন।

আরও পড়ুন: রাজউক প্লট দুর্নীতি মামলা: শেখ হাসিনাসহ আসামিদের বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য গ্রহণ

সুমাইয়া জাফরিনকে ‘অপারেশন ঢাকা ব্লকেড’-এর সক্রিয় সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি ডেটা এন্ট্রি, গোপন কোড তৈরি এবং অনলাইন যোগাযোগ রক্ষার কাজ করতেন বলেও জানায় পুলিশ।

অন্যদিকে, সুমাইয়ার আইনজীবী মোরশেদ হোসেন দাবি করেন, তার মক্কেল নিরপরাধ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

ভাটারা থানায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৮ জুলাইয়ের বৈঠকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের কিছু সাবেক নেতাকর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন। তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে ঢাকা অবরোধের পরিকল্পনা করেন।

এর আগে, ১৭ জুলাই রাজধানীর উত্তরা থেকে মেজর সাদিকুল হককে আটক করা হয়। বর্তমানে তিনি সেনা হেফাজতে রয়েছেন। সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে তদন্ত আদালত গঠন করেছে এবং প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।