ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে ‘নিম্নমানের খেজুর’ লেখা প্রসঙ্গে ক্ষমা চাইলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেছেন, তাড়াহুড়োয় ভুল হয়ে গেছে। এ সময় ভুলের জন্য ক্ষমাও চান তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকার প্রতিটা হোলসেল মার্কেট আমাদের নজরদারিতে। পাইকারি বিক্রেতাদের একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে হবে। ভোক্তা অধিদপ্তরের কাজ উপজেলা পর্যায়ে চলে গেছে। আমাদের নিয়ন্ত্রণে যে উদ্যোগগুলো সেগুলো নিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর কাজ করছে। সুপার মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন আমাকে একটি চিঠি দিয়েছে রোজার মধ্যে কোন প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কত কমে বিক্রি করবে। এটা একটি উদাহরণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট ঘিরে আ. লীগ-ছাত্রলীগকে সড়কে নামতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সাধারণ মানের খেজুর এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর- এ দুটি নামে সংশোধন করে দিয়েছি। আমাদের ভুলত্রুটি, যখন আমরা দ্রুত কাজ করতে যাই... আমরা চেয়েছিলাম প্রথম রমজানেই নোটিশটি দিয়ে দিতে। এক সপ্তাহ আগে তাদের বলেছিলাম স্ব-উদ্যোগী হয়ে দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার। যেহেতু তারা গড়িমসি করছিল... আর আমরা চাচ্ছিলাম প্রথম রমজান থেকে, তাই তাড়াহুড়োয় আমাদের ভুল হয়ে গেছে। সেজন্য আমি বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
আপনাদের (মিডিয়া) বলব পণ্যের দাম সেটি হাইলাইট করতে, যেখানে পণ্যের দাম ফিক্সড করে দেওয়া আছে। মানুষের মুখের প্রাইসটা না নিয়ে যেটা ট্যাগে লাগানো আছে, সুপার মার্কেটে যেগুলো থাকে সেটি হাইলাইট করলে মানুষও জানবে। তাতে মানুষ মনে করবে সুপার মার্কেটে তো এটার দাম এত, তাহলে কাঁচাবাজারে গিয়ে কেন এটা কিনব। সুপার মার্কেটে যদি ২৯ টাকায় আলু থাকে তাহলে কেন আমি ৩৫ টাকায় দামাদামি করব। অনেকে মনে করে দামাদামি করলে হয়ত দুই টাকা সাশ্রয়ী হবে, সেজন্যই মানুষ কাঁচাবাজারে যায়। তেলের দাম তারা (সুপার মার্কেট) আমাদের নির্ধারিত মূল্যের কমে বিক্রি করছে এবং অন্যান্য জিনিসও তারা চেষ্টা করছেন, বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সরকারি প্রশিক্ষণে বাড়লো ভাতা ও সম্মানী
তিনি বলেন, সাপ্লাই চেইনের মনিটরিংয়ে একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করার চেষ্টা করছি। যাতে আমরা সাপ্লাই চেইনটা মনিটরিং করতে পারি। এটা আমরা আগামীকাল উদ্বোধন করব। আমাদের সাপ্লাই চেইন মনিটরিং করতে পারব, কোথা থেকে কীভাবে পণ্য যাচ্ছে। কৃষক বেগুনের দাম পাচ্ছে ১০ টাকা। সেটি ঢাকায় এসে কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিপণন একটি আইনের আওতায় আছে, সেটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করে আমরা শক্তিশালী করব। চালের ব্যাপারে তেমন অস্থিরতা নেই, যেহেতু কোনো নিউজ নেই।