মূর্তিবাদী নয় বাঙালি মুসলমানদের সংস্কৃতি পুনর্জাগরণ করতে হবে: হেফাজতে ইসলাম

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫১ অপরাহ্ন, ০২ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ৬:৫২ পূর্বাহ্ন, ০২ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ মিছিলে মূর্তিবাদী সংস্কৃতি ঢোকানোর তীব্র নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান।

বিবৃতিতে তারা নতুন বাংলাদেশে মুক্ত ও নিরাপদ পরিবেশে ঈদ উদযাপনের সুযোগ পাওয়ায় মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানান এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘সুলতানি বা মুঘল আমলের কয়েকশ বছরের পুরনো ঐতিহ্য ‘ঈদ মিছিল’ ফিরিয়ে আনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের যাত্রা শুরু হয়েছে বলে আমরা মনে করি। সারা দেশে শিশু-কিশোরসহ সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ঈদ মিছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত ঈদ মিছিলে বিভিন্ন মূর্তির সমাহার ঈদের মূল স্পিরিটের সাথে সাংঘর্ষিক। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ইসলামে দুই ঈদের প্রবর্তনের ইতিহাস না জেনে ঈদ মিছিলে মূর্তিবাদী সংস্কৃতি ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে; তা নাহলে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো। ’

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগে ‘নওরোজ’ ও ‘মেহেরজান’ নামে দুটো উৎসব পালন করা হতো, যা ছিল ইসলামের তৌহিদী চেতনার বিপরীত। তখন পৌত্তলিক সংস্কৃতি থেকে মুক্ত থাকতে মুসলমানদের জন্য ইসলাম দুই ঈদের প্রবর্তন করে। অথচ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত ঈদ মিছিলে মঙ্গল শোভাযাত্রার মতো মূর্তিবাদী সংস্কৃতির আড়ম্বর দেখা গেল।

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা, কার্যক্রম নিষিদ্ধ

ঈদ মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহ প্রদত্ত পুরস্কারের দিন। যা মুসলমানদের জন্য আনন্দের দিন। সে আনন্দ উৎসব হতে হবে ইসলামের তৌহিদী চেতনা ও বিধান অক্ষুণ্ন রেখে। কোনো প্রাণী বা মানুষের মূর্তি বা ভাস্কর্য বানানো ইসলামে সম্পূর্ণ নিষেধ। এই মৌলিক বিধান অক্ষুণ্ন রেখেই ঈদ উদযাপনকে সাংস্কৃতিকভাবে আমাদের জাতীয় উৎসবে পরিণত করতে হবে।

মূর্তিবাদী সংস্কৃতি নয়, তৌহিদী চেতনার মধ্যেই বাংলাদেশের মুসলমানদের সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ নিহিত।

তারা বলেন, সবশেষে আমরা নতুন বাংলাদেশে মুক্ত ও নিরাপদ পরিবেশে ঈদ উদযাপনে ভূমিকা রাখার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।