দাবি মানার আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যদের

গতকাল গ্রেফতার হওয়া নাইমুলের মুক্তি ও অন্যান্য দাবি মানার আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেছেন সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্যরা। রোববার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা শেষে চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যরা বেরিয়ে যান।
এরপর সাবেক সৈনিক মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, আমরা বলেছি আমাদের গ্রেফতার হওয়া বরখাস্ত সৈনিক মো. নাঈমুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি বলেছেন আজ যেহেতু অফিস সময় শেষ হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতার করে জেলখানায় পাঠানো হয়েছে, সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিনিধিদল ও লেফটেন্যান্ট ইফতেখার স্যারসহ কাল তার মুক্তির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবো।
আরও পড়ুন: বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকাশ করা হয়নি উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদের হিসাব
এছাড়া চাকরি পুনর্বহালের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, যাদের চাকরির বয়স ১০ বছরের নিচে, তাদের চাকরি ফেরতের বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন। আর যাদের বয়স নেই তাদের পেনশনের আওতাভুক্ত করার কথাও জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের প্রতি সদয়। এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের তারা দুটি অপশন দিয়েছে। যারা আমাদের মাঝে রেকর্ডের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি, তাদের আর নতুন করে অ্যাপ্লিকেশন করা লাগবে না। আর যারা অ্যাপ্লিকেশন জমা দেয়নি এবং রেকর্ডের কার্যক্রম সম্পন্ন করেনি, তাদের বাই নেমে আজ রাতের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। আমরা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আরিফ স্যার বরাবর দরখাস্তগুলো পাঠাবো। আমরা আশা করবো আজকের আলোচনা উনারা মাননীয় সেনাপ্রধানের কাছে তুলে ধরবেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
এদিন এর আগে দুপুর ২টা থেকে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকার্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনকারীরা।
তাদের দাবিগুলো ছিলো
১. চাকরিচ্যুতির সময় থেকে অদ্যাবধি সম্পূর্ণ বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহাল।
২. যদি কোনো সদস্যের চাকরি পুনর্বহাল করা সম্ভব না হয়, তাহলে তাকে সরকারি সব সুযোগ সুবিধাসহ সম্পূর্ণ পেনশনের আওতাভুক্ত করতে হবে।
৩. যে আইন কাঠামো ও একতরফা বিচার ব্যবস্থার প্রয়োগে শত শত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সেই বিচার ব্যবস্থা ও সংবিধানের আর্টিকেল-৪৫ সংস্কার করতে হবে।
৪. গতকাল গ্রেফতার হওয়া মুখ্য সমন্বয়ক সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে চাকরিচ্যুত সৈনিক মো. রিপন হোসেন বলেন, তিন বাহিনী মিলিয়ে ৬০০ জনের মতো চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বাধ্যতামূলক পেনশনে পাঠানো হয়েছে অনেককে। কোর্ট মার্শাল করে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতি আমরা মানি না।
সাবেক নৌবাহিনীর নাবিক এম বাহাউদ্দিন বলেন, ৪৫ মিনিট সময় দিয়েছি। আমাদের দাবির বিষয়ে আলাপ করতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে যদি কেউ না আসে ৪৫ মিনিটের মধ্যে, তাহলে আমরা জাহাঙ্গীরগেটের উদ্দেশ্যে লংমার্চ শুরু করবো। এছাড়া আমাদের প্রধান সমন্বয়ক নাইমুল ইসলামকে মুক্ত করতে হবে।