উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগী এপিএসকে দুদুকে জিজ্ঞাসাবাদ

ছাত্রদের টার্গেট করে একটি পক্ষ মিথ্যা ছড়াচ্ছে: মোয়াজ্জেম হোসেন

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৪৫ অপরাহ্ন, ২২ মে ২০২৫ | আপডেট: ৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, ২৪ মে ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নিজের বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। তার দাবি, ছাত্রদের টার্গেট করে একটি পক্ষ মিথ্যা ছড়াচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণমাধ্যমের কাছে এমন দাবি করেন তিনি। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দুদকের উপসহকারী পরিচালক মিনু আক্তার সুমির নেতৃত্বে একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট ঘিরে আ. লীগ-ছাত্রলীগকে সড়কে নামতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার

এক প্রশ্নের জবাবে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, দুদক ডেকেছে তাই এখানে এসেছি। আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। ছাত্রদের টার্গেট করে একটি পক্ষ এমন মিথ্যা ছড়াচ্ছে। যেমন মিডিয়াতে আমার পদত্যাগের বিষয়টি অব্যাহতি হিসাবে এসেছে। আমাকে বিসিএস ভাইভা দিতে হবে, একটা প্রস্তুতির বিষয় ছিল। এ কারণে পদত্যাগ করেছিলাম। আমি ২৫ মার্চ পদত্যাগ করেছি। আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যদিও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিজ্ঞপ্তি ভুল আকারে এসেছে। আর দুর্নীতির অভিযোগ এরপরে এসেছে।

মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে উপদেষ্টার এপিএস থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদবির বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে শত কোটি টাকা সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন: সরকারি প্রশিক্ষণে বাড়লো ভাতা ও সম্মানী

গত ২২ এপ্রিল যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন পদত্যাগ করেন। আর ২৫ এপ্রিল নিজের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের বিষয়ে দুদককে তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

গত ২৭ এপ্রিল উপদেষ্টাদের এপিএস ও পিও-এর দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু করার দাবি নিয়ে দুদকে আসে যুব অধিকার পরিষদ। ‘মার্চ টু দুদক’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা দুদকে আসেন। পরে দলটির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল দুদকে স্মারকলিপি জমা দেয়।

অন্যদিকে বুধবার (২১ মে) স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবি, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণমাধ্যমের কাছে মাহমুদুল ও তানভীর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।

গত ১৫ মে তাদের তলব করে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসানকে ২০ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তারা ওইদিন উপস্থিত না হয়ে বুধবার হাজির হয়েছিলেন।