গোপালগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, আসামি ৪৭৫ জন

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:৩৫ অপরাহ্ন, ১৮ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৭:২৩ পূর্বাহ্ন, ১৯ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকালে গোপালগঞ্জ সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক আহম্মদ আলী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট ঘিরে আ. লীগ-ছাত্রলীগকে সড়কে নামতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. রুহুল আমিন সরকার বলেন, “পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেছে। মোট ৪৭৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭৫ জনের নাম সরাসরি উল্লেখ রয়েছে।”

এর আগে, বুধবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশকে ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সমাবেশস্থলে এনসিপি নেতাদের পৌঁছানোর আগেই সেখানে হামলা শুরু হয়। হামলার পরপরই দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরও হামলার শিকার হয়। এ ঘটনায় এনসিপির নেতারা কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকেন এবং পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় গোপালগঞ্জ ত্যাগ করে খুলনার দিকে রওয়ানা হন।

আরও পড়ুন: সরকারি প্রশিক্ষণে বাড়লো ভাতা ও সম্মানী

সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত পাঁচ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করা হলেও সহিংসতা বাড়তে থাকায় বুধবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করে সরকার, যা পরে আরও বাড়ানো হয়।

উল্লেখ্য, ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এনসিপি গত মঙ্গলবার ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ ঘোষণা করে। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে শুরু হয় টানটান উত্তেজনা, যা শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় রক্তক্ষয়ী সহিংসতায়।