আসিফ নজরুল প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪০ অপরাহ্ন, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১১:১৩ পূর্বাহ্ন, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল একসময় প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন। এখন দায়িত্ব তার কোর্টে—তিনি জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কেমন ভূমিকা রাখেন, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুরুল হক হলে এনসিপি আয়োজিত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন: তফসিল ও ভোটের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান ইসির

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে বলেন, “আপনি উপদেষ্টাদের নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিন। শহীদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে নিয়ে সেই দিন আমরা এনসিপির পক্ষ থেকে সনদে স্বাক্ষর করব।”

তিনি জানান, জুলাই সনদ বর্তমানে আইন কমিশনে রয়েছে।

আরও পড়ুন: চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করলেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হবে খালেদা জিয়াকে: মির্জা ফখরুল

“আমরা দেখতে চাই ড. আসিফ নজরুল কোনো টালবাহনা না করে জনগণের পক্ষে থেকে দ্রুত সনদ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেন,” বলেন এনসিপি নেতা।

তিনি আরও বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়া ছিল জনগণের বড় অর্জন। জুলাই সনদে সই না হওয়ায় এটি হারানোর শঙ্কা ছিল। এনসিপি ঝুঁকি নিয়ে অবস্থান নিয়েছে—এর সুফল এখন জনগণ পাচ্ছে।”

সংবিধান সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাহাত্তরের পচা সংবিধান দিয়ে দেশ চলতে পারে না। এই সংবিধান আমাদের ভাইদের হত্যার বৈধতা দিয়েছে।”

রাজনৈতিক ইঙ্গিতে তিনি বলেন, “রক্তের ট্যাঙ্কার দিয়ে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে, বুলেট রেভুলেশনের পর ব্যালট রেভুলেশনের মাধ্যমে জনগণ জবাব দেবে। দলীয় দাস হিসেবে কেউ সংস্কার ঠেকাতে চাইলে তারা সেফ এক্সিট পাবে না।”

সরকার গঠনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, “আমরা ক্যান্টনমেন্টের পেছনের দরজা দিয়ে বা কোনো অ্যাম্বাসিতে গিয়ে ক্ষমতা নিতে চাই না। জনগণের ভোটেই আমরা বিশ্বাস করি।”

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে অদক্ষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যে লাউ সেই কদু ধরনের নির্বাচন চায় না এনসিপি। বিএনপি-জামায়াত বিরোধী নাটক করছে—এক দল ভারতে, আরেক দল পাকিস্তানে পা দিয়ে রেখেছে।”