আজ জেলহত্যা দিবস

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৩ অপরাহ্ন, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১২:২২ অপরাহ্ন, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আজ ৩ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বেদনাবিধুর দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির চার বিশিষ্ট নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জাতি দিনটি পালন করে জেলহত্যা দিবস হিসেবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর তার ঘনিষ্ঠ এই চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। একই বছরের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে কারাগারের অভ্যন্তরে গুলি করে তাদের হত্যা করা হয়। স্বাধীনতার পর মুজিবনগর সরকারের এই চার নেতার হত্যাকাণ্ড জাতির ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস ও পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যার উদাহরণ হয়ে আছে।

আরও পড়ুন: তফসিল ও ভোটের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান ইসির

এই ঘটনার পর দায়ের হওয়া মামলাটি ‘জেলহত্যা মামলা’ নামে পরিচিতি পায়। আদালতের রায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১০ জন এখনও পলাতক। কেবল একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে—বরখাস্ত ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ, যিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও অন্যতম আসামি ছিলেন। ২০২০ সালের এপ্রিলে দেশে ফিরে আসার পর তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে মামলাটি দীর্ঘ ২১ বছর স্থবির ছিল। পরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মামলার তদন্ত ও বিচার পুনরায় শুরু হয়। প্রায় তিন দশক পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত রায় ঘোষণা করে।

আরও পড়ুন: চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করলেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হবে খালেদা জিয়াকে: মির্জা ফখরুল

প্রতি বছর ৩ নভেম্বর জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও শোকের সঙ্গে স্মরণ করে সেই চার নেতাকে—যারা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রগঠনে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে নিবেদিত সহযাত্রী ছিলেন।