‘গোয়েন্দা টিম গঠন করেন, লোক সাপ্লাই দেব’ ওসিকে জামায়াতের প্রার্থীর মন্তব্যে বিতর্ক

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:০৯ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:১০ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রামের মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমানকে নিয়ে করা এক বক্তব্যে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমানকে ঘিরে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি থানায় বসে পুলিশের গোয়েন্দা টিমের জন্য জামায়াত–শিবির সংশ্লিষ্ট লোক সরবরাহের প্রস্তাব দিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভিডিওটি ধারণ করা হয় গত ২০ নভেম্বর বিকেলে মিরসরাই থানায়। সেখানে সাইফুর রহমান এলাকার ক্রমবর্ধমান ডাকাতির ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ওসিকে বলেন, “আপনারা যদি মনে করেন গোয়েন্দার লোক লাগবে, ইউনিয়ন ভিত্তিতে গোয়েন্দা টিম গঠন করেন, আমি স্পেশালি লোক সাপ্লাই দেব। যাদের সহায়তাকারী পুলিশ মনে করেন, সেরকম লোকও আমি দিতে পারব।”

আরও পড়ুন: তফসিল ও ভোটের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান ইসির

ডাকাতি প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যদি দু-একটা ডাকাতকে স্ট্যান্ডবাই ধরতে পারতাম, শাস্তি দিতে পারতাম, তাহলে মানুষ অ্যাকশন বুঝত। আমরা সত্যিকার অর্থে সহযোগিতা করতে চাই।”

ভিডিওতে ওসি আতিকুর রহমানকেও প্রতিক্রিয়া দিতে শোনা যায়। তিনি বলেন, “এ মুহূর্তে আমাদের আপনাদের সহযোগিতা দরকার। অন্তত ১৫ দিন সহযোগিতা করুন, দেখুন কী রেজাল্ট আসে। আপনার প্রস্তাবে আমি অত্যন্ত খুশি।”

আরও পড়ুন: চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করলেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হবে খালেদা জিয়াকে: মির্জা ফখরুল

তিনি আরও জানান, মহল্লাভিত্তিক টিম গঠন ও পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করাসহ মাঠপর্যায়ে তদারকি চালানো হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বক্তব্যকে কেটে-ছেঁটে বিকৃতভাবে ছড়ানো হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, “যারা ভিডিও বিকৃত করছে, তারা ডাকাতদের সহযোগী। কয়েকটি আইডি থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়ানো হয়েছে—তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব।”

তবে ওসি আতিকুর রহমানের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি প্রতিবারই জরুরি সভার কথা বলে ফোন কেটে দেন।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি যাচাই করে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, “পুলিশের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করা যায় না। কেউ ওভাবে বলতে পারেন না।”