বাংলাদেশে প্রবেশের পর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পাবেন তারেক রহমান

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:১১ অপরাহ্ন, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৯:৪১ পূর্বাহ্ন, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খালেদা জিয়ার অসুস্থতার মধ্যে তার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যদিও সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত তার ‘একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়’।

নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুঞ্জন নিরসন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানিয়েছে, তারেক রহমান সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পাবেন। বাংলাদেশে প্রবেশের পর বিমানবন্দর থেকে তিনি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এর নিরাপত্তা পেতে পারেন। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা সময়মতো নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: তফসিল ও ভোটের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান ইসির

সূত্র জানিয়েছে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) পর্যন্ত তিনি দেশে ফেরার কোনো উদ্যোগ নেননি। এদিন খালেদা জিয়ার কিছু মেডিকেল টেস্ট রয়েছে। রিপোর্ট নেতিবাচক হলে বিদেশে নেওয়ার সক্ষমতা যাচাই-বাছাই করা হবে। যদি সম্ভব না হয়, তারেক রহমান তাৎক্ষণিক দেশে ফিরতে পারেন। তবে মোটামুটি হিসেবে তিনি ডিসেম্বরের ১১ তারিখের মধ্যে দেশে আসতে পারেন বলে জানা গেছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন। পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে শিগগিরই তিনি দেশে ফিরবেন বলে আশা করি।”

আরও পড়ুন: চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করলেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হবে খালেদা জিয়াকে: মির্জা ফখরুল

গত ২৩ নভেম্বর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ২৯ নভেম্বর তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ ছিল, দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত তার একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। এই অবস্থার কারণে রাজনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে তিনি এখনো দেশে ফেরেননি।

এদিকে, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেননি। দেশে ফেরার জন্য তাকে বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করতে হবে অথবা ট্রাভেল পাস নিতে হবে। সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তিনি চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ট্রাভেল পাস দেওয়া হবে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, তারেক রহমান ট্রাভেল পাস চায়নি; চাইলে তা ইস্যু হবে।

সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশে কারো কোনো নিরাপত্তার শঙ্কা নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়েও আমরা প্রস্তুত।”